একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুম্বইয়ের রাস্তা। ছবি: পিটিআই
৪৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিল মুম্বইয়ের বৃষ্টি। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় কোলাবায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৩১.৮ মিলিমিটার। মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৭৪ সালের পর এক দিনে মুম্বইয়ের কোথাও এত পরিমাণ বৃষ্টির নজির নেই। অন্য দিকে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরীর জনজীবন। বহু এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টির সঙ্গে চলছে দমকা হাওয়া। শহরবাসীকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমবে।
তিন দিন ধরে কার্যত একটানা বর্ষণ চলছে মুম্বইয়ে। তার জেরে বাণিজ্যনগরীর অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন। তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোলাবার। ঐতিহ্যবাহী গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া-সহ কোলাবার বেশিরভাগ এলাকাই জলের তলায় চলে গিয়েছে। অন্যান্য এলাকাতেও পরিস্থিতি প্রায় একই। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় সান্তাক্রুজে বর্ষণের পরিমাণ ১৬২.৩ মিলিমিটার। গোটা শহরে যানবাহন চলছে হাতে গোনা। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি অফিস বন্ধ। কাজ করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, প্রতি বছর অগস্টে গড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, এ বছর মাসের প্রথম পাঁচ দিনেই তার ৬৪ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় অবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝে মধ্যেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। তার সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া চলবে। কখনও কখনও সেই গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে আগামী কাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা।
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত শ্যামল চক্রবর্তী
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা, সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শহরবাসীর প্রতি আর্জি জানিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাইরে না যান। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বাইরে বেরিয়েছেন, তাঁদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অধিকাংশ রাস্তায় হাঁটু থেকে বুক সমান জল জমে গিয়েছে। যানবাহন চলার উপায় নেই। ফলে কোথাও হাঁটু জল, কোথাও বুক সমান জল ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে। পুর আধিকারিকদের চূড়ান্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। অন্য দিকে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্র সরকারকে বিপর্যয় মোকাবিলায় সব রকম সাহায্য করবে কেন্দ্র।