— প্রতীকী চিত্র।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কে এ বার শোকজ় নোটিশ পাঠানো হল ঘি সরবরাহকারী একটি সংস্থাকে। সোমবার ওই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের আবহে ঘি সরবরাহকারী চারটি সংস্থা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেগুলির গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল ল্যাবরেটরিতে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওই চার সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থার ঘিয়ের নমুনার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ল্যাবরেটরির পরীক্ষায়। এর পরই ওই সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যটি। প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল পশুর চর্বি। গুজরাতে এক সরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সম্প্রতি এই দাবি করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটেছিল পূর্বের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির আমলে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল জগনের দল। তবে বিতর্ক থামেনি। বিতর্কের আবহে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।
তিরুপতির এই লাড্ডু বিতর্কের জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শুক্রবার এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। অগণিত ভক্ত, যাঁরা এই প্রসাদকে পবিত্র আশীর্বাদ হিসাবে মনে করেন, মানসিক ভাবে আহত হয়েছেন। আবেদনকারীর অভিযোগ, লাড্ডু বিতর্ক মন্দির প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই তৈরি হয়েছে। হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার্থে পদক্ষেপ করা উচিত বলে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।