এক নাবালিকা পড়ুয়ার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে স্কুলের প্রধানশিক্ষককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারল ছাত্রীরা। কর্নাটকের শ্রীরঙ্গপত্নের কাত্তেরি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলের হস্টেলে এক পড়ুয়াকে প্রধানশিক্ষক হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হস্টেলের অন্য ছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। প্রধানশিক্ষকের এই আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
এর পরই স্কুল ঘেরাও করে প্রধানশিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায় কয়েকশো ছাত্রী। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা ছাত্রীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁদের আশ্বাস দেন, অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষকদের আশ্বাসে মন গলেনি ছাত্রীদের। তাদের অভিযোগ, এর আগেও স্কুলের ৭ জন ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন প্রধানশিক্ষক। সেই ঘটনার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই, সেই ঘটনার পর প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ জমা হচ্ছিল ছাত্রীদের মধ্যে। বুধবার প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে এক পড়ুয়ার সঙ্গে অশালীন আচরণের খবর চাউর হতেই সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয় বৃহস্পতিবার। এক সঙ্গে একাধিক ছাত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রধানশিক্ষক স্কুলের একটি ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। ছাত্রীরাও সেই ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রধানশিক্ষককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। স্কুলের কয়েক জন আধিকারিকের অভিযোগ, এর আগেও প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল।
বৃস্পতিবারের এই ঘটনার পর পুলিশ স্কুলে পৌঁছে প্রধানশিক্ষককে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।