জিতনরাম মাঝিঁ এবং নীতীশ কুমার (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ পেয়েছিলেন তাঁর জন্যই। জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রধান নীতীশ কুমারের সেই অবদানের কথা তিনি ভোলেননি। তাই বিহারে যখন নীতীশ কুমার মহাজোট (মহাগঠবন্ধন) ছেড়ে বেরিয়ে এডিএ-তে যোগ দেন, কিন্তু রাজ্যের মসনদে থাকার জন্য যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের প্রয়োজন হয়, সেই সময় নীতীশের দলের পাশে এসে দাঁড়ান হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চা (হ্যাম)-এর প্রধান জিতনরাম মাঝিঁ।
এক অনুষ্ঠানে বিহার সরকার, নীতীশের দলবদল প্রসঙ্গ উঠতেই হ্যাম প্রধান জিতনরাম জেডিইউ প্রধানের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বানাতে নীতীশের সমর্থন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মাঝিঁ বলেন, “আপনি আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছিলেন। আমি তার প্রতিদান দিলাম।” ঘটনাচক্রে, মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে নীতীশের দরকার ছিল ১২২টি ভোট। কিন্তু নীতীশের সমর্থনে ছিল ১২১টি ভোট। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে এক কম ছিল। তখনই সরকার গঠনে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে হ্যাম।
মাঝিঁ বলেন, “সরকার গঠনে বিহার বিধানসভায় ১২২টি ভোটের দরকার ছিল। নীতীশ কুমার পেয়েছিলেন ১২৫টি ভোট। তার মধ্যে চারটি ছিল হ্যামের। এই চার ভোট না পেলে নীতীশ কুমার সরকার গড়তে পারতেন না।” এর পরই মাঝিঁ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হতে আমাকে সাহায্য করায় নীতীশজিকে তার প্রতিদান দিলাম।” মহাজোট ছেড়ে নীতীশের বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তকেও সঠিক বলে দাবি করেছেন মাঝিঁ। শুধু তা-ই নয়, বিহারবাসীকে নীতীশের সরকারকে সমর্থন জানানোরও আহ্বান জানিয়েছেন হ্যাম প্রধান। রাজ্য মদ নিষিদ্ধ করায় নীতীশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মাঝিঁর কণ্ঠে।