Haryana Woman

এক বছর শৌচাগারে বন্দি গৃহবধূ উদ্ধার, খেতে না দেওয়ারও অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

হরিয়ানার রিশপুর গ্রামে এক মহিলাকে দীর্ঘদিন শৌচাগারে বন্দি করা রাখা হয়েছে বলে প্রথম অভিযোগটি পান হরিয়ানার উইমেন প্রোটেকশন অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজ প্রহিবিশন ডিপার্টমেন্টের অফিসার।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

পানিপথ শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৫:১৭
Share:

এক বছর পর শৌচাগার থেকে উদ্ধার মহিলা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া।

স্ত্রীকে এক বছর শৌচাগারে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার ওই মহিলাকে উদ্ধার করার পরে উদ্ধারকারীদের ধারণা, দীর্ঘ সময় তাঁকে খেতেও দেওয়া হয়নি। মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

Advertisement

হরিয়ানার রিশপুর গ্রামে এক মহিলাকে দীর্ঘদিন শৌচাগারে বন্দি করা রাখা হয়েছে বলে প্রথম অভিযোগটি পান হরিয়ানার উইমেন প্রোটেকশন অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজ প্রহিবিশন ডিপার্টমেন্টের অফিসার রজনী গুপ্ত। সম্ভবত ওই গ্রামের কোনও বাসিন্দাই ফোন করে এই খবর দেন। এর পরেই তিনি দলবল নিয়ে রিশপুর গ্রামে যান। যে বাড়ির এমন ঘটনা বলে অভিযোগ ছিল সেখানে গিয়ে দেখেন, সত্যিই শৌচাগারে এক মহিলাকে আটকে রাখা হয়েছে। রজনী গুপ্ত মহিলাকে উদ্ধারের পরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "এক মহিলাকে শৌচাগারে আটকে রাখা হয়েছিল বলে আমাদের কাছে খবর আসে। সেটা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সেটা সত্যি। শুধু আটকে রাখাই নয়, ওই মহিলাকে সম্ভবত অনেক দিন কিছু খেতেও দেওয়া হয়নি।"

কেন স্ত্রীকে এই ভাবে শৌচাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল? এর জবাবে অভিযুক্ত স্বামীর বক্তব্য, "আমার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। ওকে বাইরে বসতে বললেও সেটা করত না। এর জন্য চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতে কিছু উন্নতি হয়নি।" যদিও স্বামীর বক্তব্য মানতে নারাজ রজনী গুপ্ত। তিনি বলেন, "মহিলা মানসিক ভাবে অসুস্থ বলা হলেও দেখে সেটা মনে হচ্ছে না। আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। তবে এক বছর তাঁকে শৌচাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। উদ্ধারের পরে আমরা তাঁর চুল পরিষ্কার করেছি। পুলিশকে গোটা বিষয় জানানো হয়েছে। এ বার পুলিশ যা করার করবে।"

Advertisement

আরও পড়ুন: পিএফ সমস্যার সমাধান হোয়াটসঅ্যাপেও, মিলবে সব প্রশ্নের উত্তর

আরও পড়ুন: রাজ্যকে চিঠি, বাংলায় লোকাল ট্রেন চালাতে রাজি কেন্দ্র

স্থানীয় এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নরেশ। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলা আদৌ মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement