হরিয়ানায় শীঘ্রই এমবিবিএসের পঞ্চম বর্ষে পড়তে হবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। ছবি: প্রতীকী
এমবিবিএসের পঞ্চম বর্ষে পড়তে হবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র! খুব শীঘ্রই এমনটা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। নতুন পাঠ্যক্রমের খসড়া তৈরির জন্য ইতিমধ্যে একটি দল গঠন করেছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ়।
এই সিদ্ধান্তের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্ত রকম অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছেন, সব ধরনের চিকিৎসা শাস্ত্রের মধ্যে সমন্বয় ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত। চিকিৎসা শাস্ত্রের উদ্দেশ্য একটাই, রোগীদের কষ্ট দূর করে সুস্থ করে তোলা। তাঁর মতে, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে অ্যালোপাথি এবং আয়ুর্বেদের সংমিশ্রণ ঘটাতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট, তারা আদতে প্রথাগত চিকিৎসার প্রচার চালাতে চাইছে। রোজের জীবনে সেই প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
এমনিতে এমবিবিএসের পাঠ্যক্রমে যে যে বিষয় পড়ানো হয়, তার সঙ্গে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের কোনও যোগ নেই। হরিয়ানা সরকারের এই সিদ্ধান্তের দিকে আঙুল তুলেছেন বহু চিকিৎসক। এমনকি, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর হরিয়ানার সচিব চিকিৎসক দীনেশ সান্দুজা একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র এখন অনেক উন্নতি করছে। কিন্তু তার পরেও এমবিবিএসের পাঠ্যক্রমে এর সংযুক্তি ঠিক নয়। সান্দুজা পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘এমবিবিএসের গোটা পঞ্চম বর্ষ ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র পড়ানোর পরিবর্তে ফিজিওলজি এবং অ্যানাটমির যে সব অংশের আয়ুর্বেদশাস্ত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে, সেগুলি পড়ুয়াদের পড়ানো যায়।’’
সান্দুজা এ-ও মনে করেন, গোটা পঞ্চম বর্ষ জুড়ে আয়ুর্বেদশাস্ত্র পড়ানো হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন পড়ুয়ারা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে হরিয়ানায় ডাক্তারি শিক্ষার মানেও প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘সরকার আয়ুর্বেদ ওষুধের প্রচার চালাতে চাইলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের শুধু এই ওষুধই রোগীদের দেওয়া উচিত। অ্যালোপাথি ওষুধ দেওয়া উচিত নয়।’’