ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস ছাড়ার পরে এই প্রথম সর্বসমক্ষে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, অভিযোগ, অভিমান নিয়ে মুখ খুললেন গুজরাতের তরুণ পাটীদার নেতা হার্দিক পটেল। ভবিষ্যতে কোন রাজনৈতিক দলের হাত ধরে তিনি এগোবেন, উস্কে দিলেন সেই জল্পনাও।
জল্পনা ছিল, গুজরাতে গত বিধানসভা ভোটে যে বিজেপিকে নিশানা করে হার্দিক প্রচারে এসেছিলেন, এ বার সেই দলেই যোগ দিতে চলেছেন হার্দিক। এ প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘‘গুজরাতে শান্তি, নিরাপত্তা এবং উনন্নয় এনেছে বিজেপি। এ রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে এ ভাবেই দেখেন। এক সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ দেখে এসেছেন এঁরা। তাই বিজেপির জমানায় প্রতিষ্ঠিত শান্তি আর নিরাপত্তার মর্ম তাঁরা বুঝেছেন।’’
সাক্ষাৎকারে আম আদমি পার্টির (আপ) কর্মপদ্ধতিরও প্রশংসা করেছেন হার্দিক। কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘আপের জাতীয় নেতাদের দেখুন, এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। তাঁদের নিয়ে ছোট ছোট ঘটনাও মিডিয়ার নজরে থাকে। গুজরাতের সর্বত্র ওঁদের গতি। আর কংগ্রেসের নেতাদের কেবল কিছু জায়গাতেই দেখতে পাবেন— সৌরাষ্ট্র, সুরাতবা বরোদায়।’’
কংগ্রেস ছাড়ার কারণ হিসাবে হার্দিক বলেন, ‘‘আপনি যদি সমাজকর্মী হন, বিক্ষোভের মুখ হন, কংগ্রেস আপনার পাশে থাকবে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে। যেমন ২০১৫-’১৮ ওঁরা (কংগ্রেস নেতারা) আমার কাছে আসতেন, ভাল ভাল কথা বলতেন। যে-ই দলে যোগ দিলাম, আমায় ভুলে গেলেন। তখন আমায় ওঁরা প্রতিদন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন।’’ হার্দিকের অভিযোগ, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি হওয়ার পরেও তাঁর ছবি কোনও দলীয় পোস্টারে থাকত না। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে প্রথম এই বদল নজরে আসে। কংগ্রেসের এক জন নেতাও আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।’’
তবে ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হার্দিক। তিনি বলেন, ‘‘এ বছর গুজরাতের নির্বাচন ২০১৭ সালের মতো অতটা রোমাঞ্চকর হবে না। অনেকটা একতরফা হবে। ২০১৭ সালের তুলনায় এ বার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে চাই।’’ সংবাদ সংস্থা