(বাঁ দিকে) এই ভিডিয়ো ঘিরেই শুরু বিতর্ক। ক্ষমা চাইলেন জাভেদ হাবিব। ছবি সৌজন্য টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম।
মহিলার মাথায় থুতু দিয়ে চুল কাটার ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন কেশ পরিকল্পক (হেয়ার স্টাইলিস্ট) জাভেদ হাবিব।
একটি ভিডিয়ো বার্তায় হাবিব বলেছেন, ‘সেমিনারে কিছু কথা বলেছি। হয়তো আমার কথায় কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। একটা কথাই বলতে চাই, এগুলি পেশাদারি ওয়ার্কশপ। এখানে এই পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষরাই আসেন। এক একটি ওয়ার্কশপ দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে একটু আধটু রসিকতাও চলে। কী আর বলব!’
এর পরই হাবিবকে ক্ষমা চাইতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ সত্যিই আঘাত পেয়ে থাকেন, অন্তর থেকে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি। দয়া করে ক্ষমা করে দিন। আমি দুঃখিত।’
বৃহস্পতিবার জাভেদের একটি ওয়ার্কশপের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে হচ্ছিল সেই ওয়ার্কশপ। সেখানে ওই পেশার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ হাজির ছিলেন। কী ভাবে চুল কাটতে হয় তা দেখানোর জন্য মঞ্চে এক মহিলাকে ডেকে নেন হাবিব।
পুজা গুপ্ত নামে ওই মহিলার দাবি, “জাভেদ হাবিবের ওয়ার্কশপে হাজির ছিলাম। মঞ্চে আমাকে ডেকে নেন তিনি। জল ছাড়া কী ভাবে চুল কাটা সম্ভব তারই একটা নমুনা দেখাচ্ছিলেন তিনি। হাবিব তখন বলেন, কারও কাছে যদি জল না থাকে তা হলে থুতু দিয়েও চুল কাটা যায়। এর পরই আমার মাথায় থুতু ফেলেন তিনি।”
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই টুইটারে ট্রেন্ডিং হন হাবিব। সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। জাতীয় মহিলা কমিশন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করার জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দেয়। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছে তারা। তাঁকে নিয়ে যখন নেটমাধ্যম তোলপাড়, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে ক্ষমা চাইলেন হাবিব। মুজফফনগরের পুলিশ সুপার অর্পিত বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ করা হবে।