জ্ঞানবাপী মসজিদ কোন পক্ষের? চলছে মামলা-মোকদ্দমা। ফাইল চিত্র ।
জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’-এর পুজো করার অনুমতি চেয়ে বারাণসী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হিন্দু পক্ষ। আর হিন্দু পক্ষের করা সেই আবেদন নিয়েই সোমবার রায় দিতে পারে আদালত। বিশ্ব বৈদিক সনাতন সঙ্ঘের সভাপতি জিতেন্দ্র সিংহ বিসেনের স্ত্রী কিরণ সিংহ বারাণসী আদালতে এই আবেদনটি করেছিলেন।
‘শিবলিঙ্গ’ পুজোর অনুমতির পাশাপাশি পুরো জ্ঞানবাপী মসজিদ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার এবং সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছে মামলাকারী হিন্দু পক্ষ। যদিও আদালতের তরফে আপাতত মুসলিমদের ওই মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মধ্যে থাকা ‘শিবলিঙ্গের’ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করেছিল হিন্দু পক্ষ। গত ১১ নভেম্বর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা আবারও বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৭ মে, বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে বারাণসীর আদালত। কিন্তু কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না মসজিদে নমাজ পড়া। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা শনিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তা বহাল রেখেছে। পাশাপাশি, গত শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, তথাকথিত ‘শিবলিঙ্গের’ সুরক্ষার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে হিন্দু পক্ষ বারাণসী জেলা আদালতে আবেদন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর অগস্টে জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা-সহ) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে এবং পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে বারাণসী আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ হিন্দু মহিলা। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করেছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে মুসলিম পক্ষের দায়ের করা আবেদন এখনও বিচারাধীন।