—প্রতীকী চিত্র।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভা ভিন্ন ধর্মে জমি কেনাবেচায় চলতি বছর মার্চে যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল, সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় দিল গৌহাটি হাই কোর্ট। ঘটনার সূত্রপাত করিমগঞ্জে। কবীর আহমেদ চৌধুরী ও মহম্মদ ফয়জ়ুল আহমেদ তাঁদের ৮ কাঠা জমি ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় প্রদীপ মালাকার ও পল্টু মালাকারকে বিক্রি করতে চান।
৭ ফেব্রুয়ারি এনওসি-ও পেয়ে যান তাঁরা, যার মেয়াদ ছিল নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু মার্চে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে রাজ্য সরকার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভিন্ন ধর্মে জমি কেনাবেচা বন্ধ করলে ওই জমির বিক্রিও আটকে যায়। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আহমেদরা। সেই মামলার তৃতীয় শুনানিতে শনিবার করিমগঞ্জের জেলাশাসকও অনলাইনে যোগ দিয়েছিলে। শুনানিতে আহমেদদের পক্ষের আইনজীবী হাফিজ রশিদ চৌধুরি দাবি করেন, ভিন্ন ধর্মে জমি বিক্রির অনুমতি না দিয়ে জেলা প্রশাসন সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন এবং ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ও ১৫ (১) ধারায় ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য না করা সংক্রান্ত ধারা ভঙ্গ করেছিল। রাজ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্ত ও নির্দেশও সংবিধান বিরোধী। শুনানি শেষে হাই কোর্ট রায় দেয় ওই জমি বিক্রিতে সরকারি নির্দেশ কোনও বাধা হতে পারবে না।
করিমগঞ্জের জেলাশাসক কোর্টে জানান, সংশ্লিষ্ট পক্ষের জমির দলিল হস্তান্তর নথিভুক্ত করতে আর কোনও বিলম্ব হবে না। হাফিজ বলেন, টাকার প্রয়োজনেই মানুষ জমি বিক্রি করে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের অন্যায্য সিদ্ধান্তে তাঁদের আগে হাই কোর্টে যেতে হচ্ছে।