সঞ্জীব যখন গ্রেফতার হন, তখন তিনি গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিলের পড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত।
বোমা বিস্ফোরণ মামলায় গুয়াহাটির সেন্ট্রাল জেলে বন্দি সঞ্জীব তালুকদার। বন্দি অবস্থাতেই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। সেই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাক লাগালেন এই ২৯ বছর বয়সি যুবক। সমাজবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সঞ্জীবের প্রাপ্ত নম্বর ৭১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর হাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছেন সঞ্জীব।
২০১৯ সালে অসমের রাজধানী দিসপুরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতার ছক কষেছিল অসমের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (উলফা)’। সেই মামলায় গ্রেফতার হন সঞ্জীব। তার পর থেকেই তিনি গুয়াহাটির সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। সঞ্জীবের মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। জেলেই তিনি সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।
সঞ্জীব একজন ছাত্র নেতা ছিলেন। সঞ্জীব যখন গ্রেফতার হন, তখন তিনি গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানির এমফিলের পড়ুয়া। তাই গ্রেফতারির পর জেল থেকে এমফিল শেষ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু জেলে এই বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় তিনি সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ‘কৃষ্ণকান্ত হান্ডিক স্টেট ওপেন ইউনিভার্সিটি’ থেকে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন তিনি। সেই পরীক্ষাতেই প্রথম স্থান অধিকার করেছেন জেলবন্দি সঞ্জীব।
সংবাদমাধ্যমে সঞ্জীবের বোন ডলি জানিয়েছেন, গৌহাটি হাই কোর্ট চার মাসের মধ্যে সঞ্জীবের জামিনের আবেদনের শুনানি করবে। এই বিস্ফোরণ মামলায়, প্রকাশ রাজকনওয়ার নামে একজন অভিযুক্তকে সম্প্রতি জামিন দিয়েছে গৌহাটি হাই কোর্ট।