গুলি করার পর বিচারকের ছেলেকে এভাবে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল দেহরক্ষী মহীপাল।
স্ত্রী মারা গিয়েছেন আগেই। গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর নিয়ে এতদিন হাসপাতালের বিছানায় তাঁর প্রাণও ধিকধিক করছিল। মঙ্গলবার সকালে মারা গেলেন গুরুগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারকের ছেলেও। পরিবার হারানোর শোকের মধ্যেও অঙ্গদান করে নজির গড়লেন ওই বিচারক। ব্রেন ডেথ হওয়া ছেলের লিভার, কিডনি এবং হার্ট হাসপাতালে দান করলেন তিনি।
সবে মাত্র ১৮ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। সপ্তাহান্তে মায়ের সঙ্গে সকাল সকাল শপিং করতে গিয়েছিলেন। রাস্তাঘাটে নিরাপদে চলাফেরার জন্য বহাল ছিল নিরাপত্তারক্ষীও। সেই রক্ষীই যে এমন নির্মমভাবে পরপর গুলি চালিয়ে দেবেন, তা কল্পনাতেও আনতে পারেননি। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ।
সে দিনই হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিচারকের স্ত্রীর। চিকিৎসকেরা ছেলে ধ্রুবের ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পেলিং যাওয়ার পথে খাদে গাড়ি, মৃত একই পরিবারের ৫, শোকের ছায়া মছলন্দপুরে
স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। ছেলেও নেই, তা যেন ভাবতেই পারছিলেন না বিচারক। পুত্রের মৃত্যুশোকে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাজের প্রতি নিজের কর্তব্যে অটল থাকলেন ছেলের অঙ্গদানের মধ্যে দিয়ে। ছেলেকে বাঁচাতে না পারলেও তাঁর অঙ্গগুলি দান করে অন্যের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখাটাই এখন তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রহীতার খোঁজ চালাচ্ছে হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে সোনার চেয়েও দামী ‘হিমালয়ান ভায়াগ্রা’, উদ্বিগ্ন গবেষকেরা
১৩ অক্টোবর ওই ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে। তিনি এখনও পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন। পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, অত্যন্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি করত বিচারকের পরিবার। তাঁর অসুস্থ মেয়েকে দেখতে যাওয়ার জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেননি তাঁরা। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।