দিব্যা পাহুজা। ছবি: সংগৃহীত।
গুরুগ্রামের মডেল দিব্যা পাহুজা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। যে হোটেলে গত ২ জানুয়ারি উঠেছিলেন দিব্যা, সেই হোটেলের মালিক অভিজিৎ সিংহের সঙ্গে নাকি লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এই হোটেল মালিক এবং তাঁর দুই কর্মীর বিরুদ্ধে দিব্যাকে খুন করে দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিজিৎ, তাঁর হোটেলের দুই কর্মী ওমপ্রকাশ এবং হেমরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিব্যাকে খুনের পর যে গাড়ি করে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সেই গাড়িটির হদিস মিলেছে পঞ্জাবের পটিয়লায় একটি বাসডিপো থেকে। কিন্তু খুন হওয়ার পর প্রায় ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মডেল দিব্যার দেহ কোথায়, তার এখনও হদিস পায়নি পুলিশ। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন দিব্যা। জেলে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় আর এক গ্যাংস্টার বিন্দর গুর্জরের সঙ্গে। সেই গ্যাংস্টারের সূত্র ধরেই হোটেল মালিক অভিজিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দিব্যার। গত তিন মাস ধরে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, লিভ ইন সম্পর্কে থাকার সময় অভিজিতের অশ্লীল ভিডিয়ো এবং ছবি তুলে রেখেছিলেন। অভিযুক্ত অভিজিতের দাবি, সেই ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন দিব্যা। তা ছাড়া তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে প্রায়ই টাকা আদায় করতেন। এ বার বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করেছিলেন দিব্যা। ২ জানুয়ারি দিব্যাকে নিজের হোটেলে নিয়ে এসেছিলেন অভিজিৎ। সেখানে সেই ছবি এবং ভিডিয়ো নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। দিব্যাকে ওই ভিডিয়ো এবং ছবি মুছে ফেলতে বলেছিলেন অভিজিৎ। মোবাইলের পাসওয়ার্ডও চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় এবং ছবি, ভিডিয়ো মুছতে অস্বীকার করায়, দিব্যাকে গুলি করে খুন করেন বলে জেরায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন অভিজিৎ।