তাঁর নিক নেম ‘গুরু অব ব্লিং’। নামের সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে চরিত্রেরও। পাঁচ কোটি ভক্তের ভগবান, ৮০০ একর জমির উপর তাঁর ডেরা, সেখানে প্রতি দিনের রোজগার নাকি এক কোটি টাকা, সেই ডেরায় তিনিই ঈশ্বর। আবার সেই স্বঘোষিত ঈশ্বরই দোষী সাব্যস্ত হলেন জোড়া ধর্ষণ মামলায়। ১০ বছরের কারাদণ্ডের হল তাঁর। সেই বাবার ঝুলিতেই আবার রয়েছে পাঁচ-পাঁচটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি। তিনটি অ্যালবাম। ২০০৩-এ বিশ্বের সর্ববৃহৎ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে গিনেস বুক অব রেকর্ডস-এও নাম তুলেছে তাঁর সংগঠন। হ্যাঁ, এমনই বর্ণময় চরিত্র বাবার।
আরও পড়ুন: ১০ বছরের কারাদণ্ড ধর্ষক ‘বাবা’ রাম রহিমের
২০১২ সালে প্রথম মিউজিক অ্যালবাম দিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন ডেরা সচ্চা সৌদার প্রতিষ্ঠাতা বাবা রাম রহিম। সে বছরেই ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফর দ্যাট’, ‘নেটওয়ার্ক তেরে লভ কা’ এবং ‘চশমা ইয়ার কা’ মুক্তি পেয়েছিল। এর পর ২০১৩-তে আসে ‘লভ রব সে’ অ্যালবামটি। ২০১৪-তে ‘হাইওয়ে লভ চার্জার’। এখনও পর্যন্ত ৩২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ ভিউ পেয়েছে রাম রহিমের এই গানটি। এর পর আর সোলো অ্যালবাম করেননি গুরমিত।
দেখুন সেই ভিডিও
আরও পড়ুন: বর্ণময় এবং বিতর্কিত, কে এই রাম রহিম
২০১৫-তে সোজাসুজি পা রাখেন সিনে দুনিয়ায়। ‘এমএসজি: দ্য মেসেঞ্জার’ এবং ‘এমএসজি-২: দ্য মেসেঞ্জার’ মুক্তি পায়। প্রতিটি ছবিই পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং বাবা রাম রহিম। ছবির চিত্রনাট্যও তাঁরই লেখা। ছবির গীতিকার, সুরকার, পোশাক ডিজাইনারও তিনিই। ছবির প্রধান চরিত্রেও অভিনয় করেছেন বাবা। এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি রাম রহিম। ছবিতে একাধিক গানের সঙ্গে কোমর দুলিয়েছিলেন।
দেখুন সেই ভিডিও
আরও পড়ুন: কান্নায় ভেঙে পড়লেন ‘বাবা’, বিচার পেল ‘মেয়ে’দের চোখের জল
২০১৬-তে এমএসজি-র আরও একটা সিক্যুয়েল মুক্তি পায়। ‘এমএসজি: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’ ছবিটিতে রাম রহিমের সঙ্গে সহ-পরিচালক ছিলেন বাবার পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইশান। ২০১৭-তে মুক্তি পেয়েছে ‘হিন্দ কা নপক কো জবাব- এমএসজি লায়ন হার্ট- ২’ এবং ‘জাট্টু ইঞ্জিনিয়র’।
দেখুন সেই ভিডিও