বুলেটপ্রুফ বাড়িই আস্তানা ছিল ‘বাবা’ রাম রহিমের। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
ডেরা নয়, তাঁর ঠিকানা এখন রোহতক জেল। ক’দিন আগে অভিযোগ উঠেছিল, জেলে নাকি রাজার হালে দিন কাটাচ্ছে রাম-রহিম। সিরসাতে নিজের ডেরাতেও কার্যত রাজার হালেই থাকত সে। এর প্রমাণ তদন্তকারীরা আগেই পেয়েছিলেন। এ বার আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য তাঁদের হাতে এল।
ডেরা সচ্চা সৌদায় বুলেটপ্রুফ বাড়িতে থাকত গুরমিত রাম রহিম সিংহ। ডেরাতে তার নিবাস তিন তলা ‘তেরা বাস’ ছিল এ দিক থেকে একেবারে সুরক্ষিত। বাড়ির সব দরজা, জানলার কাচ বুলেটপ্রুফ। তা ছাড়া সেখানকার আসবাবপত্র এবং বিলাসের বহর রাজা বাদশাদেরও হার মানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:
রাম রহিম কি জেলেও রাজার হালে! উঠছে প্রশ্ন
যাওয়ার কথা ছিল মহারাষ্ট্র, ট্রেন চলে গেল মধ্যপ্রদেশে
তদন্তকারীদের দাবি, তার ঘরে ছিল এলাহি আয়োজন। ড্রেসিং রুমে ২৯টি বিরাট কাঠের তাক। প্রতিটির উচ্চতা প্রায় ১৪ ফুট। পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অট্টালিকায় রয়েছে বিশাল স্ক্রিনের টিভি, দামি আসবাব এবং নানা বিলাসের সামগ্রী। এমনকী খাবার জল আসত বিদেশ থেকে। পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাম রহিমের বাড়ি থেকে পাওয়া জিনিসের একটি তালিকা বানানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, বিদেশ থেকে আনা পানীয় জলের বোতল, প্রায় একশো জোড়া জুতো, টুপি, পারফিউম, ডিজাইনার পোশাক। ভিওয়ানির পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র সিংহ ভোরিয়া জানিয়েছেন, রাম রহিমের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে তাঁরা দুই ব্রিফকেস ভর্তি হার্ড ডিস্ক, বুলেটপ্রুফ লেস্কাস, হার্ড ডিস্ক-সহ ছ’টি প্রজেক্টর, পেন ড্রাইভ এবং ওয়াকিটকির সেট পেয়েছেন।
বাবার ওই অট্টালিকা থেকেই সাধ্বীদের হস্টেলে যাওয়ার গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজও পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ‘তেরা বাস’-এর পশ্চিম দিকে রয়েছে মহিলাদের নিবাস। অট্টালিকারই একটি ঘরে কাঠের আলমারি দিয়ে ঢাকা জানলা থেকে শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গ। সোজা গিয়ে থেমেছে সাধ্বী হস্টেলে। এই পথ পেরিয়েই বাবা নিত্য দিন মহিলা নিবাসে যাতায়াত করতেন বলে মনে করছেন অফিসারেরা।