BJP

Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীর দখলের দ্বৈত কৌশল, নালিশ

প্রায় দু’দশক আটকে থাকা জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। বিধানসভার মোট আসন ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ০৮:০৭
Share:

জয়ের ছক কষছে বিজেপি। ফাইল চিত্র।

আগামী ছ’মাসের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করানোর চিন্তা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। তার পর থেকেই রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, বিধানসভা নির্বাচন হলেই রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে।

Advertisement

প্রায় দু’দশক আটকে থাকা জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। বিধানসভার মোট আসন ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। যে সাতটি আসন বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে ছ’টি বেড়েছে জম্মুতে (৪৩), একটি কাশ্মীরে (৪৭)। বিরোধীদের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে জম্মুতে আসন বাড়ানো বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। যাতে সেখানে জয়ের মাধ্যমে গোটা জম্মু-কাশ্মীর দখল সম্ভব হয়। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ওই রাজ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ভোট সেরে ফেলা হতে পারে। তবে বিধানসভা ভোটের পরেই রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে কি না, তা নিয়ে নীরব বিজেপি নেতৃত্ব।

বিতর্ক বেঁধেছে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়েও। জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন কমিশনার হৃদেশ কুমার জানান, যে-সব নথিভুক্ত হিন্দু-শিখ পরিবার নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য হন, তাঁরা আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। বিজেপির দাবি, ১৯৯০ সালে নথিভুক্ত রয়েছেন এমন ৬২ হাজার পরিবার উপত্যকা ছেড়েছিলেন। আজ তাঁদের জনসংখ্যা ২.২০ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১.৮০ লক্ষের বয়স ১৮-র বেশি। এর মধ্যে যাঁরা নিজেদের শরণার্থী এলাকার ভোটার কার্ড ছেড়ে কাশ্মীরে নিজেদের অতীত ঠিকানায় ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানাবেন, তাঁরাই ভোটার হিসাবে গণ্য হবেন। কমিশন জানিয়েছে, ওই ভোটাররা যেখানে রয়েছেন, সেখানেই একাধিক ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হবে। দিল্লিতে যেমন জম্মু-কাশ্মীর ভবন, কাপাসেরা, শালিমার গার্ডেন এলাকায় ভোটকেন্দ্র গড়া হবে।

Advertisement

বিজেপির আশা, ওই ভোটদাতাদের সকলেই হিন্দু-শিখ। তাঁদের ভোটের অধিকাংশই বিজেপির পক্ষে যাবে। সে ক্ষেত্রে উপত্যকাতেও বিজেপির জয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, স্থানীয় নন, কিন্তু কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছেন এমন ব্যক্তিরাও (সরকারি কর্মচারি, শ্রমিক, নিরাপত্তাকর্মী) সেখানকার ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন।

গুপকর জোটের অভিযোগ, এই দ্বৈত কৌশলে জয়ের ছক কষছে বিজেপি। এনসি-পিডিপি-র আশঙ্কা, জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা নন এমন অন্তত ২৫ লক্ষ ব্যক্তির নাম নির্বাচনী তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। কমিশনের বক্তব্য, এ সব ক্ষেত্রে যাঁরা লম্বা সময় ধরে নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে যান, তাঁরাই সাধারণত নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। তবে পরিযায়ী শ্রমিক বা সেনার নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার প্রবণতা বিশেষ দেখা যায় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement