মহিলাকে লক্ষ্য করে দিল্লির আদালত চত্বরে গুলি। প্রতীকী ছবি।
দিল্লির সাকেত আদালত চত্বরে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে এই গুলি চালনার ঘটনায় আদালত চত্বরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারী এক জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। আদালত চত্বরে নিরাপত্তা এড়াতে আইনজীবীর পোশাক পরে এসেছিলেন। ফলে সহজেই পুলিশের নজর এড়িয়ে যায়। যে মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ওই দুষ্কৃতী, তিনি তখন আদালত চত্বরেই ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মহিলা একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন হামলাকারী। মহিলাকে লক্ষ্য করে পর পর চারটি গুলি চালান তিনি। তিনটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও একটি গুলি লাগে মহিলার শরীরে। তাতেই গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি।
আচমকাই আদালত চত্বরে গুলি চলায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কেন তাঁকে গুলি করা হল, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলাকারীর খোঁজ চালানো হচ্ছে।
দিল্লির আদালতে গুলি চালানোর ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে বার গুলির লড়াইয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন। দিল্লির কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিতেন্দ্র গোগী নিহত হন গুলির লড়াইয়ে।
সে বার উত্তর দিল্লির রোহিণীতে আদালতকক্ষের মধ্যেই বিবদমান দুই দলের দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। সে বারও দুষ্কৃতীরা আইনজীবীদের পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন।
গোগীর উপর হামলার ঘটনায় ‘টিল্লু’ দলের দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে সন্দেহ ছিল পুলিশের। দুষ্কৃতীদের গুলি চালনার মধ্যেই পাল্টা গুলি চালিয়েছিল পুলিশও। সেই গুলিতে দুষ্কৃতী দলের দু’জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছিল। সেখানে কর্মরত এক মহিলা আইনজীবীও আহত হন।