— প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে আবারও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে লোক ঠকানোর কারবার ধরা পড়ল। এ বার ঘটনাস্থল বরোদা। পুলিশ সূত্রে খবর, মায়াঙ্ক তিওয়ারি নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে পিএমও কর্তা পরিচয় দিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে দু’টি শিশুকে ভর্তি করান। তার পর সেই স্কুলেরই কর্তাদের কেন্দ্রীয় সহায়তা পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকাও আদায় করেন।
বরোদার বাঘোডিয়া থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মায়াঙ্ক নিজেকে পিএমও-এর ডিরেক্টর হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে ২০২২-এর মার্চে একটি বেসরকারি স্কুলের কর্তাদের সঙ্গে ভাব জমান। তার পর নিজের এক বন্ধুর ছেলে বলে পরিচয় দিয়ে দু’টি শিশুকে ওই স্কুলে ভর্তি করান। তার পর প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে বিভিন্ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
কয়েক মাস পরেই ওই বেসরকারি স্কুলের ট্রাস্টির সন্দেহ হয়। খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, আসল ঘটনা। এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ মায়াঙ্কের বিরুদ্ধে বাঘোডিয়া থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে শুক্রবার বরোদার পুলিশ মায়াঙ্ককে গ্রেফতার করে।
এ বারই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগে আমদাবাদের বাসিন্দা কিরণ পটেল নিজেকে পিএমও কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের হাই সিকিউরিটি জ়োনে অবাধে ঘুরে বেড়িয়ে, সরকারের টাকায় বিলাসবহুল হোটেলে থাকছিলেন। সেই হোটেল থেকেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এ বার বরোদার মায়াঙ্কও গ্রেফতার হলেন। তিনিও নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্তা হিসাবে।