এএনআই টুইটের স্ক্রিনশট।
সড়ক পথে অনুমতি মেলেনি। কিন্তু, আকাশ আর নদী পথ তো রয়েছে।
সেই আকাশ আর নদী পথকেই নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে নিয়েই সবরমতীর উপর দিয়ে ভেসে গেল প্রথম সমুদ্র বিমান (সি-প্লেন)। আর যখন আধুনিক সমুদ্র বিমানে সবরমতীর উপর দিয়ে ভেসে গেলেন, তখন মোদী-মোদী রবে উত্তাল হল গোটা এলাকা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা। প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র বিমানে রওনা দিলেন মেহসানা জেলার পথে। সেখানে প্রচার কাজ শেষের পর অম্বাজি মন্দিরে পুজোও দিলেন তিনি।
এ দিন সমুদ্র বিমানে চড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সর্বত্র বিমান বন্দরের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই আমরা এই সমুদ্র বিমানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, মোদীর সি প্লেনে চড়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সভাপতি হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুলের প্রশ্ন, ‘‘সি প্লেনে উঠলেন, খুব ভাল কথা। কিন্তু, গুজরাতের উন্নয়নের জন্য কিছু বললেন না কেন?
আরও পড়ুন: ‘ব্লু হোয়েল-এ আটকে কংগ্রেস, ১৮ তারিখই তার শেষ পর্ব’
নিরাপত্তাজনিত কারণে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর রোড শো-এর অনুমতি বাতিল করেছিল অমদাবাদ পুলিশ। রোড শো-র অনুমতি দেওয়া হয়নি বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকেও। অমদাবাদের পুলিশ কমিশনার এ কে সিংহ জানিয়েছিলেন, এক সঙ্গে এতগুলো হেভিওয়েট নেতার রোড শো হলে প্রচুর জনসমাগম হবে। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি মোদী, রাহুলের নিরাপত্তা দিকটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তার পরই সমুদ্র বিমানের পরিকল্পনা করে বিজেপি।