ছবি: রয়টার্স।
বিপুল জয়। প্রতিপক্ষকে ধুলো খাইয়ে দেওয়া। বিজেপি’র আত্মবিশ্বাস চুরমার করে দেওয়া।
নানা বিশেষণ ভেসে বেড়াচ্ছে বিহারের বাতাসে। কিন্তু কোনও বিশেষণই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না বিশ্লেষকদের। কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় বিহারে মহাজোটের এই বিপুল জয়কে! ২০১৪-এ প্রবল মোদী ঝড় বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩১টিই ভরে দিয়েছিল বিজেপি’র ঝুলিতে। মাত্র ১৭ মাস পর সেই বিহারেই বিজেপি ধরাশায়ী। জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোট শুধু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই পায়নি, রিং-এর বহু বাইরে ছিটকে দিয়েছে সুশীল মোদী, রামবিলাস পাসোয়ান, জিতনরাম মাঁঝি, উপেন্দ্র কুশওয়াহাদের। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকেই ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে খুব বড় জয় বলে মনে করা হয়। সেখানে মহাজোটের ঝুলিতে এ বার তার চেয়েও বেশি। বিহার বিধানসভার তিন-চতুর্থাংশ আসন দখল করে নিয়েছেন লালু-নীতীশরা।
নীতীশ কুমারই ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেই লড়াইতে নেমেছিল মহাজোট। বিহারবাসী সমর্থন উজাড় করে দিয়েছেন মহজোটের ঝুলিতে। ফলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের শপথ নেওয়ার হ্যাটট্রিক এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, রাজনৈতিকভাবে মহাজোটে লালু প্রসাদ এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন। তাঁর দল আরজেডি মহাজোটের তো বটেই, বিহারেরও একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। নীতীশ জমানা শুরু হওয়ার পর থেকে বিহারে লালুর দলের এত বড় সাফল্য আগে কখনও হয়নি। নীতীশ-লালু-কংগ্রেসের সম্মিলিত শক্তি মহাজোটের নামে স্লোগান দিয়েই ভোট ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু, ইভিএম খুলতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দলকে পিছনে ফেলে লালুর দল সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে। তাতে অবশ্য কিছু যাবে-আসবে না, বলছেন লালু। নীতীশ কুমারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশের নাম লালু আনুষ্ঠানিকভাবে আবার ঘোষণা করেছেন এ দিন। বার বার বলেছেন, তিন-চতুর্থাংশ আসনে মহাজোট জিতেছে, জেডিইউ, আরজেডি কংগ্রেস আলাদা আলাদা করে নয়। তাই কার আসন বেশি, কার আসন কম, তা নিয়ে অনর্থক চর্চা করে লাভ নেই।
বিহার বিধানসভার জোটভিত্তিক ফল
সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন