মোদী সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেললেন বিজেপি নেতা ও সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
টুইটারে স্বামী এ দিন লিখেছেন, ‘‘সিবিআইকে বরবাদ করার খেলোয়াড়েরা ইডি-র রাজেশ্বরকে সাসপেন্ড করতে চলেছেন। যাতে পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তিনি চার্জশিট না দিতে পারেন। যদি এমন হয়, আমার সরকারই দুর্নীতিতে মদত দেয়, তা হলে আমার পক্ষে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে লড়াই করার যুক্তি থাকবে না। তেমন হলে আমার করা দুর্নীতির সব মামলা থেকে সরে যাব আমি।’’ কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে, রাজেশ্বর সিংহকে সিবিআইয়ের সেই শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ, যাঁরা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করছেন। ফলে স্বামীর এই বক্তব্য তাৎপর্যের। সনিয়া, রাহুল গাঁধীদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছেন স্বামী। প্রশ্ন উঠেছে, তেমন হলে বিজেপি নেতা সেই মামলা থেকে সরে যাবেন কি না।
টুইটারে সিভিসি-র বিরুদ্ধেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। মোদী সরকার যখন সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক বর্মাকে সরানোর পিছনে সিভিসি-র সুপারিশকে সামনে আনছে, তখন বিজেপি নেতার এমন বক্তব্য বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে পারে। স্বামী লিখেছেন, ‘‘ভিজিল্যান্স কমিশনার (চিদম্বরমের) দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অন্তর্ঘাত করেছেন। তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। তিনি যখন অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিক ছিলেন, তখন রাজস্ব বিভাগের অনেক তল্লাশি চালিয়েছিলেন। সেই মামলা বন্ধ করতে ঘুষও নেন। সেই টাকা এক পঞ্জাবি মহিলা অফিসারের সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছেন। হায়দরাবাদে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র আমি পেয়েছি।’’ তাৎপর্যের বিষয় হল, কংগ্রেস এ দিনই অভিযোগ এনেছে, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনও রাজস্ব বিভাগের অফিসারকে ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে। কে ভি চৌধুরি মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে দিয়েই অলোক বর্মাকে সরানো হয়েছে।