সোল বৈঠকে আশা মেটেনি। কিন্তু পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে হাল ছাড়তে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাদের দাবি, চলতি বছরের মধ্যেই ফের একটি সুযোগ পাবে ভারত।
এনএসজি-র সদস্যপদ নিয়ে সোল বৈঠকে ব্যর্থতার পরে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী কংগ্রেসের পাশাপাশি এ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হাও। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রকের।
এ দিন মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত বাধা কাটাতে সময় লাগে। সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠী ও ক্ষেপণাস্ত্র ক্লাব এমটিসিআর-এর সদস্য হতে ১০ বছর আগে আবেদন করেছিল ভারত। চলতি সপ্তাহে এই দু’টি ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। সোল বৈঠকে দিল্লির উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আরও সময় লাগবে।’’
সোল বৈঠকে নানা দেশের ভূমিকা নিয়ে কিছু ভুল তথ্য ছড়িয়েছে বলে দাবি স্বরূপের। তাঁর মতে, কেবল একটি দেশই (চিন) বার বার ভারতের বিরোধিতা করেছে। অন্য কিছু দেশ প্রক্রিয়াগত প্রশ্ন তুলেছে মাত্র। সোল বৈঠকে সুইৎজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড-সহ বেশ কিছু দেশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মেক্সিকোর প্রস্তাব মেনে চলতি বছরেই ফের বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে এনএসজি-র সদস্য দেশগুলি। তাতে পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) স্বাক্ষরকারী নয় এমন দেশগুলিকে এনএসজি-র সদস্য করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আর্জেন্তিনার রাষ্ট্রদূত রাফায়েল গ্রোসি।
তবে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা ও প্রাক্তন কূটনীতিকদের একাংশের মতে, এনএসজি-র সদস্যপদ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তির সময়ে পাওয়া বিশেষ ছাড় অনুযায়ী এনএসজি সদস্য দেশের মতোই সুবিধে পায় ভারত। চলতি সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিজাত ক্ষেপণাস্ত্র ক্লাব এমটিসিআর-এর সদস্য হতে পারে ভারত। আপাতত এই সাফল্যই পুঁজি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর।