২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব বাজেটে

মোটামুটি প্রত্যাশিত পথেই হাঁটলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩২
Share:

প্রস্তাব রয়েছে তিনটি বিমা সংস্থার বিলগ্নিকরণের।

মোটামুটি প্রত্যাশিত পথেই হাঁটলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। নিজের সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রশংসা করে আগামী অর্থবর্ষে চলতি অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখলেন। স্বপ্ন দেখালেন ৮ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধিরও। পাশাপাশি কর্পোরেট করে কিছুটা ছাড় দিযে খুশি রাখার চেষ্টা করলেন শিল্পমহলের একটা অংশকেও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এবং কর্পোরেটের প্রত্যাশা মতোই শিল্পক্ষেত্রে বেশ কিছুটা ছাড় দিলেন। এত দিন পর্যন্ত বার্ষিক মুনাফা ৫০ কোটি পর্যন্ত হলে সেই সংস্থাকে প্রায় ৩৫ শতাংশ (৩৪.৬১ শতাংশ) কর দিতে হত।

এ বারে সেই স্ল্যাব এক ধাক্কায় বাড়ানো হল ২০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি কমানো হল করের পরিমাণও। ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে বার্ষিক ২৫০ কোটি পর্যন্ত লাভ করা সংস্থাগুলিকে কর দিতে হবে ২৫ শতাংশ। তবে সামান্য (১ শতাংশ) বাড়ানো হয়েছে সেস। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সুবিধা হবে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলিরও।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভোট আসছে, বোঝাল জেটলির বাজেট

আরও পড়ুন: ভোট-বাজেট: গ্রাম আর কৃষিতে দেদার বরাদ্দ

এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন

বিলগ্নিকরণে এ বার লক্ষ্যপূরণ হওয়ায় আগামী অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার কোটির লক্ষ্যমাত্রা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সং‌স্থার বিলগ্নিকরণের। তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা— ওরিয়েন্টাল ইনসিওরেন্স, ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স এবং ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্সকে এক করে বিলগ্নিকরণের প্রস্তাবও রয়েছে এর মধ্যে। এর ফলে আগামী অর্থবর্ষেও সহজেই লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬.৮ শতাংশের কাছাকাছি। আগামী অর্থবর্ষে তা ৭.২ থেকে ৭.৫ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে এ বারের বাজেটে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের করা সমীক্ষাতেও মোটামুটি ভাবে এই বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি এবং ব্যাঙ্কিং সংস্কার থেকে তেমন ফায়দা পাওয়া যায়নি। এই আর্থিক সংস্কারগুলির সুফল পাওয়া যাবে আগামী অর্থবর্ষে। ফলে সহজেই ছোঁয়া যাবে লক্ষ্যমাত্রা। তবে বাজেটে অর্থমন্ত্রীর দেখানো ৮ শতাংশ বৃদ্ধির স্বপ্ন নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement