নদীভাঙন প্রতিরোধের কাজ দেখতে গিয়ে জনতার হাতে আটকা পড়লেন জলসম্পদ বিভাগের দুই অফিসার। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বরাক নদীর ভাঙন থেকে কাটিগড়ার গণিরগ্রাম বাজার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাকে উদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিন থেকে তাঁরা দাবি করছেন। শেষপর্যন্ত গতবছরের শেষদিকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পেশাল প্যাকেজে এই কাজের জন্য ২ কোটি টাকার মঞ্জুরি মেলে। কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু নদীভাঙন কতটা ঠেকানো সম্ভব, সংশয়ে তাঁরা। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে গ্রামের মানুষ ক-দিন থেকেই অভিযোগ করছিলেন।
আজ দুপুরে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ দেখতে যান বিভাগীয় অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার গোবিন্দ কলিতা। সঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার লক্ষ্মীকান্ত বর্মন। ক্ষুব্ধ জনতা সেখানেই তাঁদের ঘেরাও করেন। দুর্নীতির অভিযোগ এনে নানা প্রশ্ন করেন। চলে হুমকি-ধমকিও। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে গণক্ষোভের মুখ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে।
ওই ঘটনার খবর পাওয়ার পর অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার গোবিন্দ কলিতা জানান, জনতার অভিযোগের উপর তদন্ত হবে।