সরকারি বাড়ি ভাড়া দিলেন কংগ্রেসি বিধায়ক, অভিযোগ বিজেপির

সরকারি জমি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে। বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ কালীগঞ্জ এলাকায় পূর্ত বিভাগের নবনির্মিত বিল্ডিং বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

শীর্ষেন্দু সী

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৬ ০৮:৫৫
Share:

সরকারি জমি ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে। বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ কালীগঞ্জ এলাকায় পূর্ত বিভাগের নবনির্মিত বিল্ডিং বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার, এসডিও আজ অকুস্থল পরিদর্শনে যান।

Advertisement

করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর বিধানসভা এলাকার এএসটিসি স্ট্যান্ড সরকারের হাতছাড়া হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। এ বার, কালীগঞ্জের পূর্ত বিভাগের বিল্ডিংও হাতছাড়া হওয়ার পথে। তাই আজ করিমগঞ্জের জেলাশাসক মনোজ কুমার ডেকার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানানোর পর সাংবাদিক বৈঠকে তাঁদের অভিযোগ নিয়ে সরব বন বিজেপি নেতারা।

জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য অভিযোগ বলেন, ‘‘কালীগঞ্জ এলাকায় ৪৭টি ঘর বিশিষ্ট একটি ভবন তৈরি করা হয়। ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ভবনটি তৈরি করা হয়। সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বরূপবাবু বলেন, এলাকার বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমেদ কংগ্রেস দলের সদস্য। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কোম্পানি, যারা পূর্ত দফতরের হয়ে বাড়িটি তৈরি করে, তারা বিধায়কের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র। ভবনটি পূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর না করেই অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন জনের কাছে তা ভাড়া দিয়ে দেন বিধায়ক। বিজেপির প্রতিনিধিদল এ নিয়ে পূর্ত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সাফ জানিয়ে দেন, ভবন নির্মাণের পর সেটি পূর্ত বিভাগের হাতে দেওয়া হয়নি। ফলে কাউকে বন্দোবস্ত দেওয়ার বিষয়ে অবহিত নয় সরকারি বিভাগ। অভিযোগ পাওয়ার পর বাস্তবিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কালীগঞ্জে গিয়েছেন পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। বিজেপির অভিযোগ, সবাইকে অন্ধকারে রেখে কংগ্রেস বিধায়ক নিজের ব্যক্তিস্বার্থে সরকারি সম্পত্তি অন্যকে ভাড়া দিয়েছেন। যা কংগ্রেসি দুর্নীতির একটি দৃষ্টান্ত মাত্র।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বরূপবাবু বলেন, ‘‘পাথারকান্দি এলাকায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমি কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক, কংগ্রেসি ঠিকাদারের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে। সভাপতি উল্লেখ করেন, পাথারকান্দির বর্তমান বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল তথ্য জানার অধিকার আইনে সরকারি জমি লিজ দেওয়ার কিছু কাগজ সংগ্রহ করেছিলেন। সেই কাগজ অনুযায়ী পাথারকান্দির সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক মণিলাল গোয়ালা, প্রাক্তন বিধায়ক কার্তিকসেনা সিনহা, কংগ্রেসি ঠিকাদার আব্দুল বাসিত, সামসুদ্দিনের নামে কয়েক হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভূমিহীন মানুষের নামেই সরকারি খাস জমি বরাদ্দের কথা। কিন্তু কংগ্রেসের অপশাসনে দলের বিধায়করা সরকারি জমি নিজের নামে বন্দোবস্ত করিয়ে নিয়েছেন। করিমগঞ্জের জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি জানিয়ে দেয়, এ ধরনের অবৈধ বন্দোবস্ত যদি শীঘ্রই বাতিল করা না হয় তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

সরকারি ভবন ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্য দুই প্রাক্তন বিধায়কও কিছু বলতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement