ক্লাস চলছে ভিডিয়ো কলে। ছবি: রয়টার্স
লকডাউনের জেরে বাড়ি বসেই চলছে অফিসের কাজ। ব্যবহার করতে হচ্ছে জুমের মতো বিভিন্ন ভিডিয়ো কলিং অ্যাপ। কিন্তু বার বার অভিযোগ আসছে সেই অ্যাপগুলির স্বচ্ছতা নিয়ে। এ বার সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিনব প্রস্তাব। বিভিন্ন ভারতীয় কোম্পানির সামনে রাখা হয়েছে একটি চ্যালেঞ্জ। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক বলেছে এমন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স কলিং অ্যাপ বানাতে হবে যা কম্পিউটার থেকে মোবাইল, সব কিছুতেই কাজ করবে। শুধু তাই নয়, কাজ করতে হবে এমন জায়গায় যেখানে ইন্টারনেটের গতি কম। অবশ্যই এই অ্যাপ হবে এনক্রিপ্টেড, অর্থাৎ, কোনও তৃতীয় পক্ষ সেই কথোপকথনে আড়ি পাততে পারবে না।
এমন একটি সময় এই চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে এসেছে যখন বিভিন্ন ভিডিয়ো কলিং অ্যাপের বিরুদ্ধে উঠছে নানা অভিযোগ। যার অন্যতম অভিযোগ হচ্ছে তথ্য চুরির। শুধু অফিসের নয়, স্কুলের পড়াশোনাও চলছে এই অ্যাপের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকেরা জানতে চাইছেন এই অ্যাপ কতটা নিরাপদ। জুমের মাধ্যমে ক্লাস করতে গিয়ে সাইবার জালিয়াতির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কতটা, স্কুলের কাছে তা-ও অনেকে জানতে চাইছেন। কর্তৃপক্ষ তাঁদের সাবধান করে জানিয়েছে, ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়ারা যেন তাদের ব্যক্তিগত তথ্য আদানপ্রদান না করে, এমনকি, মেসেজের আদানপ্রদান করতেও নিষেধ করা হচ্ছে।
১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই অ্যাপ তৈরির জন্য নাম নথিভুক্ত করার কাজ। যা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। যে ভারতীয় কোম্পানি বিজয়ী হবে তাদের দেওয়া হবে এক কোটি টাকা অ্যাপটিকে কার্যকর করার জন্য। ২৯ জুলাই জানানো হবে বিজয়ীর নাম। সারা ভারতে সেই অ্যাপ প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: এ বার জুম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
রাষ্ট্রপতি ভবনে করোনা, আইসোলেশনে ১২৫ পরিবার
গত সপ্তাহে জুম সম্পর্কে সাবধান করেছিল কেন্দ্র। সাইবার কোঅর্ডিনেশন সেন্টার কেন্দ্রীয় অফিসারদের এই অ্যাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিল। গুগল এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডও একই সাবধানবাণী দিয়েছিল তাদের কর্মীদের।
করোনার প্রভাবে বাড়ি থেকে কাজ যত বেড়েছে ততই বেড়েছে জুমের কার্যকারিতা। যদিও হাইকোর্টের বিভিন্ন শুনানি এই অ্যাপের মাধ্যমে হয়, এমনকি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকেও দেখা গিয়েছে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে।