গোপাল কান্ডা (বাঁ দিকে), গীতিকা শর্মা (ডান দিকে)। — ফাইল ছবি।
বিমানসেবিকা থেকে সংস্থার ডিরেক্টর হওয়া গীতিকা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা গোপাল কান্ডাকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। একই সঙ্গে খালাস করা হয়েছে গোপালের সঙ্গী অরুণা চড্ডাকেও।
গোপালের এমএলডিআর এয়ারলাইন্সে বিমানসেবিকা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির বাসিন্দা গীতিকা। পরবর্তী কালে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয় তাঁকে। ২০১২ সালের ৫ অগস্ট উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অশোক বিহারের বাড়িতে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ৪ অগস্ট গীতিকার লেখা ‘সুইসাইড নোটে’ তিনি লিখেছিলেন, গোপাল কান্ডার লাগাতার হেনস্থার কারণেই তিনি জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই সময় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোপাল ছিলেন হরিয়ানার ভূপিন্দর সিংহ হুডার সরকারে মন্ত্রী। কিন্তু বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয় গোপালকে।
হরিয়ানার লোক জনহিত পার্টির নেতা তথা সিরসার বিধায়ক গোপালকে মঙ্গলবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, আদালত গোপালের সহযোগী অরুণাকেও নিষ্কৃতি দিয়েছে। তবে আদালত শর্ত দিয়েছে, গোপালকে ১ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ড হিসাবে জমা রাখতে হবে।
প্রত্যাশিত ভাবেই আদালতের রায়ে খুশি নন গীতিকার ভাই অঙ্কিত। যদিও গোপাল বলছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। এই মামলাটি আমাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছিল। আদালতের আজকের রায়ে তা পরিষ্কার।’’