প্রতীকী ছবি।
রাস্তার কুকুর এখন আতঙ্ক কেরলবাসীর কছে। এতটাই যে কুকুর মারার জন্য এ বার সোনার কয়েন পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এখানকার একটি কলেজের প্রাক্তনীদের সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মাস চারেক আগে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে রাস্তার কুকুরদের উপদ্রবে চার মাসে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দু’শো জন শিশু। গত সপ্তাহেই ভারকলায় নব্বই বছরের এক বৃদ্ধের উপর নৃশংস হামলা চালায় এক দল রাস্তার কুকুর। তাদের আক্রমণে মৃত্যু হয় রাঘবন নামে ওই বৃদ্ধের। সাধারণ মানুষ তার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কেরলের সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তনীদের ওই সংগঠন নানা সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। কুকুর মারার জন্য ভর্তুকি দেওয়া এয়ারগান বিক্রির কথাও সপ্তাহখানেক আগে ঘোষণা করেছিল সংগঠনটি। এখন তারাই সোনার কয়েন দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসলে রাস্তার হিংস্র কুকুর মারতে সরকারি স্তরে কিছুই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জেমস পামবায়ক্কাল। তাই তাঁরা এ বার ঘোষণা করেছেন, যে যে এলাকায় সব চেয়ে বেশি সংখ্যক কুকুর মারা হবে, সেখানকার পুরপ্রধান বা পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সোনার কয়েন। তবে এটাই প্রথম বার নয়। এর আগেও রাস্তার আক্রমণকারী কুকুরদের মারলে মোটা টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ওই সংগঠনটি। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় এখন সোনার উপর ভরসা রাখছে তারা।
জেমস জানিয়েছেন, কোথায় দিনে ক’টা করে কুকুর মারা হচ্ছে, খাতায়-কলমে তার হিসেব রাখা হবে। তালিকায় শীর্ষে থাকা এলাকার প্রশাসনিক প্রধানের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার। তবে এ ভাবে প্রাণী হত্যা করে সোনা দেওয়ার ঘোষণায় ক্ষিপ্ত পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, সরকারের উচিত কুকুরদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা। এ ভাবে মেরে ফেলাটা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।