নরেন্দ্র মোদী এবং মোহন ভাগবত। —ফাইল ছবি।
নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় বারের শপথের পরের দিনই নতুন সরকারের উদ্দেশে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বার্তা, বিরোধীদের গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিপক্ষ নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে হবে তাঁদের। ভোটের সময় ‘মর্যাদা পালন করা হয়নি’ বলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন ভাগবত। যাকে কার্যত মোদীর প্রতি বার্তা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক শিবির।
ভাগবত বুঝিয়ে দিয়েছেন, নতুন সরকারকে এগোতে হবে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে। গত দশ বছরে যা হয়নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। মণিপুরে শান্তি ফেরানোয় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মোদীকে যে কথা বারবার বলে এসেছেন বিরোধী দলের নেতারা, বিজেপির ভোট বিপর্যয়ের পরে সেই পরামর্শও শোনা গিয়েছে ভাগবতের মুখে। তিনি বলেছেন, মণিপুরে শান্তি ফেরানোর বিষয়টি সরকারকে এ বার গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
সিবিআই, ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাকে পাঠিয়ে বিরোধীদের হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে মোদী-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে। গত বছরগুলিতে বিরোধীরা বারবার ক্ষোভ জানিয়েছেন, তাঁদের ভাবনাকে গুরুত্ব না দিয়ে একতরফা ভাবে দেশ শাসন করার পথে হেঁটেছে মোদীর নেতৃত্বাধীন পরপর দু’টি সরকার। বিভিন্ন বিতর্কিত আইন নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সংঘাতই শুধু নয়, রাস্তায় নেমে আসা কৃষক বিক্ষোভের আঁচ সইতে হয়েছে সরকারকে। চব্বিশের ভোট বিপর্যয়ের পরে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে বিজেপি যখন জোট শরিকদের ভরসায় নতুন সরকার চালাতে এসেছে, তখন মোদীর সামনে এল আরএসএসের শীর্ষ নেতার পরামর্শ।
নাগপুরে সঙ্ঘ শিক্ষানবিশদের একটি সভায় আজ বিরোধী দলগুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ভাগবত। যাকে মোদী-শাহদের প্রতি সঙ্ঘের বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ভাগবত বলেন, “এ ভাবে কেমন করে দেশ চলবে, ভাই! সবাই মিলে দেশকে চালাতে হবে তো। দুটো পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষকে বিরোধী পক্ষ বলা হয়। আমি অবশ্য তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী বলি। তাঁরা বিরোধী নন, তেমনটা ভাবাও উচিত নয়। তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী, অন্য ভাবনাকে তুলে ধরেন। তাঁদের কথাকে গুরুত্ব দিতে হবে।” ভোটের প্রচারের সময়