চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় শোরগোল। —ফাইল চিত্র।
ছাত্রীদের স্নানের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে উত্তাল পঞ্জাবের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তীব্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। অন্য দিকে, পুলিশের তদন্তের মধ্যেই এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগছে। পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি যখন দোষীদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তখন আন্দোলনকারীদের মধ্যে রয়েছে বিজেপিও। দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের উপর চাপ দিচ্ছে তারা। যদিও তদন্তের পরে পুরো ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যম চণ্ডীগড় পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রীর কাছ থেকে একটি ভিডিয়োই পাওয়া গিয়েছে। এবং সেটাও তাঁর নিজের। তাঁর ফোন থেকে কারও ভিডিয়ো তিনি রেকর্ড করেননি। সংবাদ সংস্থা এএনআই মোহালির এসএসপির মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, এক ছাত্রীই এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন। তদন্ত চলছে। দোষীদের কেউ রেয়াত পাবেন না বলেও জানিয়েছেন ডিআইজি গুরপ্রীত ভুল্লার। মোহালির এসএসপি বিবেক সোনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। সবার কাছে আবেদন করছি, দয়া করে গুজব ছড়াবেন না।’’
৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী। সেই ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতে আট ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন হস্টেলে। শনিবার রাত থেকে এই খবর চাউর হয় মোহালির চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের ফোন থেকে একটিই ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। সেটি তাঁর নিজেরই। ভিডিয়োটি নিজের পুরুষ বন্ধুকে পাঠান তিনি। অভিযুক্তার মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইটে লেখেন, ‘উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবার কাছে আবেদন, গুজবে কান দেবেন না।’