তখনও বর বেশে বসে আছেন অশোক যাদব।
এ যেন একেবারে বলিউডি ফিল্ম।
ফুল-পাতা-আলোয় সাজানো বিয়ের মণ্ডপ। সেজে গুজে এসে গিয়েছেন পাত্র। এ বার শুধু চার হাত এক হওয়ার পালা। হঠাৎই ছন্দ পতন! ফিল্মি কায়দায় বিয়ে বাড়ির দরজার বাইরে এসে দাঁড়াল এক এসইউভি। তার থেকে নেমে এলেন এক তরুণী। হাতে গুলি ভরা রিভলভার। তাঁর সঙ্গে আরও দুই সশস্ত্র সঙ্গী। উপস্থিত সকলে ভয় পাবে, না অবাক হবে তা বুঝে ওঠার আগেই সোজা বরের মাথায় বন্দুক তাক করলেন তরুণী। হুমকি দেওয়া হল, বেগড়বাই করলেই ছুটবে গুলি। আর তারপর খোদ বরকেই অপহরণ করে নিয়ে গেলেন তরুণী!
তরুণীর দাবি, তাঁরা দু’জনে দু’জনকে ভালবাসেন। কিন্তু ওই যুবকের পরিবার জোর করে অন্য মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করেছেন। এই বিয়ে আটকাতেই তিনি এমন কাজ করেছেন বলেও জানান ওই যুবতী।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে। অপহৃত পাত্র অশোক যাদব। অশোকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ভারতী যাদবের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের আসরে যে এমন কিছু ঘটতে চলেছে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি হবু বর। ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অশোকের খোঁজ পায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাতনি ‘চুরি’! জামাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে দাদু-দিদিমা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সকলের সামনেই ওই যুবতী জানিয়েছিলেন, পরিবারের চাপেই অন্য মহিলাকে বিয়েতে বাধ্য হয়েছে অশোক। কিন্তু তাঁরা একে অপরকে ভালবাসেন। ফলে এই বিয়ে তিনি কিছুতেই হতে দেবেন না। বিয়ের হাত থেকে বরকে বাঁচাতেই তাঁকে অপহরণ করতে এসেছেন বলেও জানান ওই তরুণী।
অশোকের বাবা রমহিত যাদব জানান, প্রথম থেকেই ছেলের আচরণে তাঁর খটকা লেগেছিল। শহরে যখন ছেলের কাছে গিয়েছিলেন তখন অশোক কিছুতেই তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়নি বলেও জানান রমহিত। তাঁর দাবি, সম্ভবত ওই তরুণীর জন্যই রমহিতকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল অশোক।
এই ঘটনার পরেই ভারতীর পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।