এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ১২ বছরের কিশোরী। ধর্ষণের ঘটনা প্রথমে সে বাড়ির লোকজনের কাছে চেপে গিয়েছিল। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সে সকলকে জানিয়ে দেয়, তার দিদির স্বামী তাকে ধর্ষণ করেছেন। এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার মা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর অনুরোধ করেছেন তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে যাতে কোনও পদক্ষেপ না করা হয়।
ঘটনাটি হরিয়ানার পানিপতের। নির্যাতিতার পরিবার বিহারের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে হরিয়ানায় গিয়ে থাকছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে বিহার থেকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অভিযুক্ত। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি কিশোরী শ্যালিকাকে যৌন নিগ্রহ করেন। তাঁর ধর্ষণের ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। যদিও তা তখন বোঝা যায়নি। নিজের জামাইবাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পরিবারের কাছে বলার সাহস পায়নি কিশোরী।
সম্প্রতি ওই কিশোরীর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, সে দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর পরেই বাবা-মায়ের কাছে কিশোরী স্বীকার করে নেয়, জামাইবাবু তাকে ধর্ষণ করেছেন।
অভিযুক্তের নাম জানতে পেরে দোটানায় পড়েন কিশোরীর মা। তিন সন্তান নিয়ে তাঁর বড় মেয়ে বিহারে থাকেন। মায়ের আশঙ্কা, এই ধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে এলে বড় মেয়ের সংসার ভেঙে যাবে। তাই থানায় ছুটে যান তিনি। পুলিশকে সব জানানোর পর জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করার আর্জি জানান।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পানিপতের থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার পর তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিহারের সংশ্লিষ্ট থানায়। সেখান থেকেই তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে, জানিয়েছে পুলিশ।