গুলাম নবি আজাদ। — ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন দলের কাজকর্ম থেকে দূরে থাকার পরে আবার কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুম’-এ বৈঠকে গেলেন গুলাম নবি আজাদ— কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের জি-২৩ গোষ্ঠীর প্রধান মস্তিষ্ক।
চলতি বছরের শেষে জম্মু, কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে ধরে নিয়ে কংগ্রেস নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। গত সাত বছর ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে থাকা গুলাম আহমেদ মীরের বদলে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। কংগ্রেসে পাঁচ বছরের বেশি কাউকে এক পদে রাখা হবে না সিদ্ধান্তের পরে মীর নিজেই ইস্তফা দিয়েছেন। আজ এ বিষয়েই এআইসিসি-র সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপালেরডাকা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন গুলাম নবি। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, গুলাম নবির ঘনিষ্ঠকাউকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে গুলাম নবিকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব নিতে চাননি।
গুলাম নবি-সহ কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বিক্ষুব্ধ নেতাদের ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে গত মে মাসে উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের পরে গুলাম নবি, আনন্দ শর্মাকে সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়। তারপরেও অবশ্য রাজ্যসভায় না ফেরানো নিয়ে গুলাম নবিরা ক্ষুব্ধ বলে শোনা যাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুলাম নবিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করে দিতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়।
কংগ্রেস সূত্রের দাবি, গুলাম নবি অসুস্থ ছিলেন বলেই গত কয়েক দিন দলের কাজকর্মে সক্রিয় হননি। কিন্তু এ দিনের বৈঠকে তিনি বলেছেন, মতভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজকরতে হবে। গুলাম নবির ঘনিষ্ঠ কাশ্মীরি নেতা ওয়াকার রসুলের নাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে প্রথমে রয়েছে। যদিও তাঁর বিষয়ে গুলাম নবির বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা মীরের আপত্তি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে গুলাম নবির ঘনিষ্ঠ অন্য কাউকে সভাপতি করা হতে পারে। পুনর্বিন্যাসের পরে বিধানসভার আসন বাড়ায় জম্মু থেকে কাউকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।