General Naravane

লাদাখ ঘুরে এসে রিপোর্ট দিচ্ছেন নরবণে, তার পর স্থির পরবর্তী পদক্ষেপ

দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন নরবণে। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, বিমান এবং নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ১৪:৩৯
Share:

লাদাখে সেনাপ্রধান নরবণে।

পূর্ব লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। তা ফলপ্রসূ না হলে দিল্লির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে? তা নির্ভর করছে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণের রিপোর্টের উপর। লাদাখের পরিস্থিতি দেখে ফিরে আসার পর, দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন নরবণে। পাশাপাশি চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, বিমান এবং নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা করতে চলেছেন সেনাপ্রধান।

Advertisement

গত দু’দিনে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় এবং চিনা সেনা মুখোমুখি রয়েছে, এমন চারটি জায়গা ঘুরে দেখেন নরবণে। নোবরা-সহ সীমান্তের কিছু ফরোয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও ইন্দো টিবেট বর্ডার পুলিশের সাহায্যে এলএসি-র ৬৫টি স্থানে পেট্রোলিং বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন সেনাপ্রধান।

পূর্ব লাদাখের সেই পরিস্থিতি চাক্ষুষ করার পর, সেই ছবিই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরতে চলেছেন সেনাপ্রধান। এলএসি-তে চিনা সেনার অবস্থান কোথায়, তা তুলে ধরতে চলেছেন তিনি। বর্তমান অবস্থান থেকে চিনা সেনা আরও দক্ষিণের দিকে অর্থাৎ ভারতের দিকে চলে এলে পরিস্থিতি কী হতে পারে, সে সম্পর্কেও ব্যাখ্যা দিতে পারেন নরবণে। এই মুহূর্তে অবশ্য রাশিয়া সফরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সে ক্ষেত্রে লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও নিজের মূল্যায়ন জানাতে পারেন সেনাপ্রধান। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেও পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন নরবণে। সেইসঙ্গে বিমান এবং নৌ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: গালওয়ানে পাকা ঘাঁটি গড়েছে চিন, ধরা পড়ল উপগ্রহচিত্রে​

১৫ জুন রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দু’দেশের সেনাবাহিনী। তার পর থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার আবহ রয়েছে। তবে গত ২২ জুন থেকে মিলিটারি কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে দুই বাহিনীর মধ্যে। আলোচনা চলছে কূটনৈতিক স্তরেও। কিন্তু এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র বড়সড় নির্মাণ কাজের ছবি। গালওয়ান সেক্টরে চিনের ওই ‘দুর্গ’ নির্মাণের বিষয়টিও সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসতে পারে। উপগ্রহে মারফত তোলা সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চিনের পিএলএ-র এই পদক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। প্রাক্তন সেনা কর্তাদের আশঙ্কা, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে হয়তো ক’দিন পরেই সরে যাবে চিনা সেনা। কিন্তু তারা ভারতের যে অংশ দখল করে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে, তা থেকে সরে আসবে কি না, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আরও পড়ুন: অমিতের চালেই শেষ পর্যন্ত মণিপুরে সরকার ধরে রাখল বিজেপি

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement