গৌহাটি হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত।
গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে মুখ পুড়ল গুয়াহাটি পুলিশ ও অসমের হিন্দু সংগঠনগুলির। ‘বেগমজান’ ধারাবাহিক বন্ধ করার পুলিশি নিষেধাজ্ঞা খারিজ করল হাইকোর্ট।
অসমের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি ছিল, ‘বেগমজান’ ধারাবাহিকে এক গোষ্ঠীর মেয়ের অন্য গোষ্ঠীর যুবকের সঙ্গে পালানোর ঘটনা দেখানো হয়েছে। যা ‘লাভ জেহাদ’কে উস্কানি দেবে! শুরু হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। তার জেরে গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনারিয়েট মনিটরিং কমিটি গড়ে। কমিটির সুপারিশক্রমে পুলিশ ২ মাসের জন্য ধারাবাহিক প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে ও শো-কজ নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চায়, কেন বরাবরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে না ‘বেগমজান’?
পাল্টা মামলা করে প্রযোজক ও চ্যানেল। তাদের দাবি ছিল, প্রথমত ধারাবাহিকে সম্প্রীতি ও মানবিকতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। যার সঙ্গে লাভ জেহাদের সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রেগুলেশনস অ্যাক্ট-১৯৬৫’- এর অধীনে সিরিয়াল সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ধারাবাহিকটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে দেখানো হচ্ছিল, কেবল চ্যানেলে নয়। তাই পুলিশ ওই আইনে সম্প্রচার বন্ধ করতে পারে না। চ্যানেল আরও জানায়, মনিটরিং কমিটিতে চ্যানেলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। চ্যানেলের কোনও বক্তব্য না শুনেই একতরফা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ শুনানির পরে পুলিশের নির্দেশ খারিজ করে দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। বিচারপতি সুমন শ্যাম জানান, অভিযুক্ত পক্ষের বক্তব্য না শুনেই একতরফাভাবে জারি করা নিষেধাজ্ঞা বৈধ নয়। তাই চ্যানেল
ফের ধারাবাহিকের সম্প্রচার শুরু করতে পারে।