—প্রতীকী ছবি।
পূর্ব লাদাখের গলওয়ান প্রদেশের অচলাবস্থা-সহ দু’দেশের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ভিডিয়ো মাধ্যমে ভারত ও চিনের ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর মধ্যে বৈঠক হলেও বেশ কিছু বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক জটিলতা অব্যাহত। বিশেষ করে গলওয়ানের একাধিক পয়েন্ট থেকে চিনা সেনা সরানোর বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের আলোচনায় ফলপ্রসূ কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকের পরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সেনা সরানোর ব্যাপারে কমান্ডার স্তরের বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। সেই বৈঠকেই পরিস্থিতি দ্রুত এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারেও আলোচনা হবে। যাতে ভবিষ্যতে ফের কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে তৈরি সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
চিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পশ্চিম সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দু’পাশের পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘পশ্চিম সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি সংক্রান্ত গঠনমূলক কিছু প্রস্তাব বৈঠকে উঠে এসেছে। পূর্ব লাদাখ থেকে পুরোপুরি ভাবে সেনা প্রত্যাহার এবং বকেয়া বিষয়গুলি মেটানোর উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখা ও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার প্রশ্নে দু’দেশ একমত হয়েছে।’’
গত অক্টোবরে দু’দেশের মধ্যে আলোচনার সময় ডেপসাং ও ডেমচকে চিনা সেনার উপস্থিতির বিষয়টি তুলেছিল ভারত। তার আগেও একাধিক বৈঠকে দুই পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পশ্চিম সেক্টর নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করলেও ইতিবাচক ও গঠনমূলক কোনও পথ এখনও মেলেনি। তবে দিল্লি মনে করছে, আলোচনার পথেই দু’দেশের মধ্যে সমাধানসূত্র মিলবে।
২০২০-তে পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পরে দু’দেশের সেনা ও বিদেশ পর্যায়ের নেতৃত্বের বৈঠক হলেও এখনও বহু জায়গায় জটিলতা আছে। ভারতীয় সেনা ২০২০-র জুন মাসের আগে টহলদারি চালাত, এমন বহু প্যাট্রোলিং পয়েন্টে চিনা সেনার বাধায় বর্তমানে তা বন্ধ। অরুণাচল প্রদেশে যে ভাবে চিন সেনা শিবির গড়ে তুলেছে, তা নিয়ে অস্বস্তি
তৈরি হয়েছে। সংবাদ সংস্থা