Ashoka Stambh

National Emblem: নতুন অশোক স্তম্ভের সিংহরা ‘হিংস্র’! মোদী উন্মোচিত প্রতীক নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

বিরোধীদের দাবি, সারনাথের মন্দিরের যে অশোক স্তম্ভকে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সিংহটি অনেক সৌম্য এবং শান্ত স্বভাবের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২২ ১৯:১৩
Share:

পুরনো এবং নতুন অশোক স্তম্ভ।

অশোক স্তম্ভে সিংহদের শ্বদন্ত কেন দেখা যাচ্ছে? প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের মাথায় যে জাতীয় প্রতীকটির সম্প্রতি উন্মোচন করেছেন, সেটি আসলটির থেকে আকারে-প্রকারে অনেক আলাদা। এবং পরোক্ষে মোদী সরকারের চরিত্রই ফুটিয়ে তুলছে।

Advertisement

এই মর্মে একটি টুইট করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তারা লিখেছে, সারনাথের মন্দিরের যে অশোক স্তম্ভকে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সিংহটি অনেক সৌম্য এবং শান্ত স্বভাবের। তুলনায় নতুন সংসদ ভবনের উপরের নতুন অশোক স্তম্ভের মূর্তিটি হিংস্র। তাদের দেখে মনে হচ্ছে গিলে খেতে আসছে। আরজেডি এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছে, প্রতীককে সাধারণত চরিত্র বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়। মোদী সরকারের নতুন প্রতীকেও তার চরিত্র স্পষ্ট।

তবে আরজেডি একা নয়, প্রতীক-বিতর্কে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন আইনজীবী তথা সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণও। সারনাথের সিংহকে তিনি মহাত্মা গান্ধীর মতো শান্ত এবং নতুন সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তার সিংহকে নাথুরাম গডসের মতো উগ্র বলে তুলনা করেছেন। টুইট করে প্রশান্ত লিখেছেন, এটাই মোদীর নতুন ভারত!

Advertisement

নতুন অশোক স্তম্ভের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তাঁর দেবী কালী সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অশোক স্তম্ভ বিতর্কে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। শুধুই টুইটারে পুরনো এবং নতুন প্রতীকের দু’টি ছবি পাশাপাশি শেয়ার করেছেন।

আম আদমি পার্টির রাজ্য সভার সদস্য সঞ্জয় সিংহ টুইট করে জানতে চেয়েছেন, ‘আমি ১৩০ কোটি ভারতীয়ের কাছে জানতে চাই, জাতীয় প্রতীক বদলে দেওয়ার এই চেষ্টা কি দেশদ্রোহ নয়!’

তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য এবং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন প্রধান জহর সরকারও দু’রকম প্রতীকের ছবি শেয়ার করে বিবরণে লিখেছেন, ‘জাতীয় প্রতীকের অবমাননা। বাঁ দিকে আমাদের আসল প্রতীক। রাজকীয় অথচ কমনীয় সিংহ। মোদীর সংস্করণটি অকারণ উগ্রতায় পরিপূর্ণ। অবিলম্বে এটি বদলানো দরকার।’

যদিও বিরোধীদের এই সমালোচনায় গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। তারা জানিয়েছে, বিরোধীরা কেন্দ্রের সমালোচনার একটি নতুন বিষয় খুঁজে পেয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। অন্য দিকে, নতুন জাতীয় প্রতীকের শিল্পী সুনীল দেওরেও তাঁর সাফাইয়ে বলেছেন, তিনি কোনও উগ্র মনোভাব থেকে প্রভাবিত হয়ে ওই মূর্তি তৈরি করেননি। তিনি মূর্তিগুলি নিজের মতো করেই বানিয়েছেন। তবে তার আগে সারনাথের আসল অশোকস্তম্ভটি নিয়ে গবেষণাও করেছিলেন।

সুনীলের যুক্তি নেটমাধ্যমে বিরোধীরা যে ছবিটি দেখিয়ে আপত্তি তুলেছেন, সেটি ছবি তোলার কৌণিকতায় অন্যরকম দেখাচ্ছে। নীচ থেকে ছবি নেওয়ায় স্পষ্ট দেখাচ্ছে সিংহের শ্বদন্তগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement