তেলের ধাক্কায় যাতায়াত, বাজারহাট সব কিছুরই খরচ বাড়ছে। প্রতীকী চিত্র।
শেষ পর্যন্ত দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, এই প্রশ্নে গোটা দেশের উদ্বেগ বাড়িয়ে আরও চড়া হল তেল। রবিবার কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে এক লিটার পেট্রল বিক্রি হল ১০৬.৪৩ টাকায়। শনিবারের থেকে ৩৩ পয়সা বেশি। ডিজেলের দর ৩৫ পয়সা বাড়ার ফলে ‘সেঞ্চুরি’-র দিকে আরও এক পা এগিয়ে হল ৯৭.৬৮ টাকা। গত মাসের শেষ থেকে রবিবার পর্যন্ত পেট্রলের দাম বাড়ল ১৬ দিন, ডিজেলের ১৯ দিন।
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনায় বিপর্যস্ত নিম্নবিত্ত এবং সাধারণ মধ্যবিত্তদের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই বেহাল। বহু মানুষের রোজগার কমেছে, অনেকের কাজ নেই, অসংখ্য পরিবারে একমাত্র রোজগেরে মানুষটিকে কেড়ে নিয়েছে অতিমারি। সংশ্লিষ্ট মহলের আক্ষেপ, প্রায় ১০০০ টাকার রান্নার গ্যাস, ১০০ টাকার পেট্রল আর ১০০ ছুঁতে চলা (বহু রাজ্যে ১০০ টাকা পেরিয়েছে) ডিজেলের জাঁতাকলে তাঁদের জীবন আরও দুর্বিষহ হচ্ছে। কারণ, তেলের ধাক্কায় যাতায়াত, বাজারহাট সব কিছুরই খরচ বাড়ছে।
শহরে বিমান জ্বালানি এটিএফ এখন কিলোলিটারে ৮৩,০১৫.৭৬ টাকা বা লিটারে প্রায় ৮৩ টাকা। তার তুলনায় পেট্রল ২৮% দামি আর ডিজ়েল ১৭%। এ জন্য কেন্দ্র দায়ী করছে বিশ্ব বাজারের অশোধিত তেলকে, যা এখন ব্যারেলে প্রায় ৮৫ ডলার। তবে চড়া উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে দামে সুরাহা দিতে নারাজ তারা। আঙুল তুলছে ইউপিএ জমানায় সরকারের চালু তেল বন্ডের দায় আর রাজ্যের চড়া ভ্যাটের দিকে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, জ্বালানির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে খরচ এত বাড়লে সামগ্রিক চাহিদাই ধাক্কা খাবে। যা অর্থনীতির পক্ষে চিন্তার। এই মুহূর্তে রাজস্থানের গঙ্গানগরে তেলের দাম দেশে সবচেয়ে বেশি। পেট্রল ১১৭.৮৬ টাকা, ডিজেল ১০৫.৯৫ টাকা।