প্রতীকী ছবি।
বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন আদালতে পেশ হওয়ার দিন থেকেই স্ত্রী-সন্তান খোরপোশ পাবেন বলে এক রায়ে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মহারাষ্ট্রের একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, স্বামী ছেড়ে যাওয়ার ফলে স্ত্রীরা অনেক সময়েই আর্থিক সঙ্কটে পড়েন। যদি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন পেশ হওয়ার দিন থেকেই স্ত্রী খোরপোশ না পান তবে তাঁর জীবনযাপন কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই নির্দেশ না মানলে স্বামীকে আটক করা হতে পারে। এমনকি তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র ও বিচারপতি ও বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডির বেঞ্চের মতে, স্বামী যদি জানান তাঁর কোনও আয়ের উৎস নেই তা হলেও তিনি নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। যদি তাঁর শরীর সুস্থ থাকে ও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তবে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে তিনি বাধ্য।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে সম্পত্তি ও দায়ের পরিমাণ জানাতে হবে। খোরপোশের হিসেব করার সময়ে সন্তানের পড়াশোনার খরচ, মৌলিক প্রয়োজন ও অন্য বৃত্তিমূলক কার্যকলাপের খরচের কথা বিবেচনা করতে হবে। স্ত্রী যদি চাকরি করেন তবে সন্তানের পড়াশোনার খরচ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাগ হতে পারে। স্বামীর সঙ্গে থাকার সময়ে স্ত্রী যে ধরনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিলেন তেমন জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খোরপোশ দেওয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের মতে, স্থায়ী খোরপোশের অঙ্ক নির্ধারণের সময়ে বিয়ে কত দিন টিকেছে, তাও বিচার করে দেখতে হবে। তবে সারা জীবন ধরে স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিলে সুবিচার হবে না। কারণ এখন অনেক ক্ষেত্রেই বৈবাহিক সম্পর্ক খুব বেশি দিন টেকে না।