কালবৈশাখীর জেরে ঝড়-বৃষ্টির ফলে কলকাতার পারদ সামান্য নামলেও স্বস্তিতে নেই দেশের অন্য শহরের বাসিন্দারা। গ্রীষ্মের তীব্র দহনে এখনই হাঁসফাঁস অবস্থা নাগপুর থেকে খাজুরাহোর। দেশের কোন শহরে আবহাওয়ার কেমন হালচাল, জানেন কি?
গ্রীষ্মকালের সবে শুরু। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের বিভিন্ন শহরে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে চল্লিশের গণ্ডি।
আবহাওয়া সংক্রান্ত খবরাখবর পরিবেশনকারী এক বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইমেট’ জানিয়েছে, বুধবার দেশে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এ দিন সেখানকার পারদ ছুঁয়েছে ৪৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাগপুরের তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বাঁদা। ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরমে পুড়ে যাচ্ছেন সেখানকার বসিন্দারা।
৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঘোরাফেরা করছে মধ্যপ্রদেশের খরগোন, তেলঙ্গানার আদিলাবাদ, মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা, অকোলা, ব্রহ্মপুরী বা কর্নাটকের গুলবর্গ, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো এবং রাজস্থানের পালোধি।
স্কাইমেট জানিয়েছে, বুধবার তাপমাত্রার নিরিখে দেশে এই শহরগুলিই ছিল প্রথম দশের তালিকাতে।
দেশের অন্যান্য প্রান্তে যখন তীব্র গরম, তখন রাজধানী দিল্লির আবহাওয়ার হাল কেমন? এ দিন রাজধানীতে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। রাজধানীতে ধুলোর ঝড় বা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।
আবহাওয়ার দফতরের পূর্বাভাস, দেশের উত্তরপ্রান্তে বিশেষ করে রাজস্থানে তীব্র দাবদাহের পরিস্থিতি হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় তেমন পরিস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। বারমেঢ়ে তাপমাত্রা ছিল ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কোটায় ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবারও রাজস্থানের মতোই তেলঙ্গানা, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতেও তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
দেশের উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ প্রান্তে যখন প্রবল গরম হাঁসফাঁস অবস্থা, সে সময় অরুণাচল প্রদেশে দেখা যেতে পারে তুষারপাত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।