ওমিক্রন নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাতে চায় না কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়ছে। এই হারে সংক্রমণ বাড়লে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংক্রমণ শিখর ছোঁবে। ডেকে আনবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। আইআইটি-র বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ মণীন্দ্র আগরওয়াল এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন। গত কাল একই উদ্বেগ প্রকাশ করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, দেশে যে সময় সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন ওমিক্রনের আবির্ভাব একটা বড় ধাক্কা।
তবে আশার কথাও জানিয়েছেন মণীন্দ্র। তাঁর মতে, ওমিক্রন-ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো শক্তিশালী হবে না। আরও আশার কথা শুনিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের উপদেষ্টা সুভাষ সালুঙ্কে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রাক্তন কর্মী সুভাষ বলেন, ‘‘ওমিক্রন যদি ডেল্টা বা করোনার অন্যান্য ভেরিয়েন্টের তুলনায় কম ক্ষতিকারক হয়, তা হলে আগামী জুনেই মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি হলেও তত দিনে তা সাধারণ সংক্রামক রোগের পর্যায়ে নেমে আসবে।’’
তবে ওমিক্রন নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাতে চায় না কেন্দ্র। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকে তরফে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের আলাদা করে করোনা আক্রান্তদের জন্য তৈরি পৃথক বিভাগে চিকিৎসা করতে হবে। তাঁদের থেকে যাতে অন্য রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ না-ছড়ায় সে দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে। আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়লে করোনা পরীক্ষাও বাড়বে। তাই পরের দু’সপ্তাহের মধ্যে কম খরচে করোনা পরীক্ষার একটি কিট বাজারে আনার কথা জানাল আইসিএমআর। এ ক্ষেত্রে করোনার পরীক্ষার খরচ অন্তত ৪০ শতাংশ কমে যাবে। এই মুহূর্তে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে করোনা পরীক্ষার খরচ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তারও সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন ঝুঁকি পূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। সেখানে আরটিপিসিআরের জন্য খরচ মোটামুটি হাজারের কাছাকাছি। কম সময়ে ফল জানতে র্যাপিড পিসিআর পরীক্ষার জন্য খরচ হচ্ছে অন্তত হাজার তিনেক। রাজ্য বিশেষে তা কম-বেশি হচ্ছে।