আরব দেশের প্রশাসনও তাঁর পোশাক নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেনি। কিন্তু, ভারতে এসে পোশাকের গেরোয় আটকে পড়তে হল এক মহিলা যাত্রীকে। ফ্রকটা খুবই ছোট— এই ‘অপরাধ’-এ মুম্বই থেকে দিল্লিগামী বিমানে উঠতে পারলেন না কাতার থেকে ভারতে আসা ওই মহিলা। বিমানবন্দরে ফ্রক বদলে ট্রাউজার পরার পর অনুমতি পেলেন পরবর্তী উড়ানে দিল্লি যাওয়ার।
মুম্বইয়ের বিমানবন্দরে কোনও যাত্রীকে ছোট ফ্রক পরার অজুহাত দেখিয়ে বিমানে উঠতে না দেওয়ার ঘটনা দেখে হতবাক অন্য যাত্রীরাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কাতারের দোহা বিমানবন্দর থেকে প্রথমে মুম্বই আসেন ওই যাত্রী। তাঁর পরনে ছিল একটি ফ্রক, যা শেষ হয়েছে হাঁটুর কিছুটা উপরেই। ইসলামি রাষ্ট্র কাতারের বিমানবন্দর সেই ফ্রক নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেনি। মুম্বইতে ইন্ডিগো’র গ্রাউন্ড স্টাফদের মনে হল, ওই ফ্রক বড্ড ছোট। হাঁটু আর উরুর কিয়দংশ উঁকি দিচ্ছে যে পোশাকের নীচ থেকে, তা পরে কোনও মহিলাকে বিমানে উঠতে দেওয়া উচিত নয়।
ইন্ডিগোর উড়ানেই মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ওই মহিলার। পোশাকের গেরোয় আটকে তিনি উড়ান ছাড়তে বাধ্য হন। নিরুপায় হয়ে বিমানবন্দরেই ফ্রক বদলে ট্রাউজার পরে নেন তিনি। পরবর্তী উড়ানে তাঁকে দিল্লি পাঠানো হয়।
মহিলা যাত্রীর পোশাকের দৈর্ঘ নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্থার তরফে সাফাইও দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিগোর বিবৃতি বলছে, ওই মহিলা যাত্রী আগে ইন্ডিগোর কর্মী ছিলেন। এখন তাঁর বোন সংস্থায় কাজ করেন। কর্মী বা তাঁর পরিবারের কেউ সংস্থার দেওয়া ট্রাভেল প্যাকেজের আওতায় ইন্ডিগোর উড়ানে চড়লে, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট পোশাক বিধি মেনে চলতে হয় বলে উড়ান সংস্থাটি জানিয়েছে। কাতার থেকে ভারতে আসা যাত্রীকে সেই বিধিই মেনে চলতে বলা হয়েছিল বলে ইন্ডিগোর দাবি।
সাফাই যা-ই হোক, মহিলা যাত্রীর পোশাক নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে বিতর্ক সহজে পিছু ছাড়ছে না।