নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আরও কিছু নথি প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর রবিবার কমিশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, কারা নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং কোন কোন রাজনৈতিক দল সেই সব বন্ড থেকে টাকা তুলেছে। রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া তথ্যই এ বার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
কমিশন রবিবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে রেজিস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত তথ্যই ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত একটি মুখবন্ধ খামে করে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সেই তথ্য দিয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুনানি চলাকালীন নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যা যা তথ্য মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি, সেই তথ্যই প্রকাশ্যে আনা হল। মনে করা হচ্ছে, এই তথ্য ১২ এপ্রিল ২০১৯ সালের আগে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্যাবলী।
কী আছে সেই তথ্যে? বন্ড কেনার তারিখ, বন্ডের সংখ্যা, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) কোন শাখা থেকে কেনা হয়েছিল, কবে সেই বন্ড কোন রাজনৈতিক দল ভাঙিয়েছে— সেই সব তথ্যই রয়েছে কমিশনের দেওয়া নতুন নথিতে। তবে এই তথ্যে নির্বাচনী বন্ডের অনন্য নম্বর নেই।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এসবিআই নির্বাচন কমিশনের হাতে বন্ড সংক্রান্ত যে তথ্য জমা দিয়েছিল তাতে বন্ডের অনন্য নম্বর ছিল না। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে এসবিআই। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, অসম্পূর্ণ তথ্য জমা দিয়েছে এসবিআই। আদালত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। ওই দিনই স্টেট ব্যাঙ্ককে এই ত্রুটির ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের নম্বর প্রকাশ্যে এলে রাজনৈতিক দল এবং অনুদানদাতাদের মধ্যে কী সম্পর্ক, তা বুঝতে সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, তৃণমৃল ইতিমধ্যেই এসবিআইকে চিঠি দিয়ে বন্ডের অনন্য নম্বর জানতে চেয়েছে। তাদের বক্তব্য, যদি সেই তথ্য পাওয়া যায় তবে তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে পারবে। কংগ্রেস জানিয়েছে তারা বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনবে। বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সিপিআইএম, সিপিআই-এর মতো রাজনৈতিক দলগুলো স্পষ্ট জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ড থেকে তারা কোনও টাকা পায়নি। তবে বিজেপি এ ব্যাপারে এখনও কোনও অনুরোধ জানায়নি এসবিআইকে।