মধ্যপ্রদেশে পর পর বাঘের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘বাঘের রাজ্য’ নামে পরিচিত মধ্যপ্রদেশে একের পর এক বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী ভাবে, কোন কারণে বাঘরে মৃত্যু হচ্ছে। সূত্রের খবর, এক মাসের মধ্যে চারটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। বালাঘাটে সম্প্রতি একটি বাঘের দেহ উদ্ধার করেছে বন দফতর। এক মাসের মধ্যে এতগুলি বাঘের মৃত্যুতে এই প্রাণীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল এল কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, শনিবার কটঙ্গী রেঞ্জের মুন্ডীওয়াড়া সার্কলে কোদমী বিটে একটি বাঘের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে চোরাশিকারের কারণে মৃত্যুর ঘটনাটিকে নস্যাৎ করেছেন মুখ্য বনপাল। তিনি জানিয়েছেন, অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলি বাঘের মৃত্যু কী ভাবে হল, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। নেপথ্যে কোন রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে বনাধিকারিক এবং পশু চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, খাবার আর জল না পেয়েই বাঘগুলির মৃত্যু হচ্ছে। তবে এই বিষয়টিকেই পাকাপাকি ভাবে সিলমোহর দিতে চাইছেন না তাঁরা। সবকিছুই তদন্তসাপেক্ষ বলেও মত তাঁদের। এক বনাধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার যে বাঘটির দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি পুরুষ বাঘ। গলায় তার জড়ানো ছিল। অন্য বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে আহত হয়েছিল বাঘটি। তার পর খাবার সংগ্রহ করার মতো ক্ষমতা ছিল না সেটির। সে কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁর। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, বাঘরে গলায় যে তার জড়ানো ছিল, এই ধরনের তার চোরাশিকারিরা ব্যবহার করে থাকে। সেই ফাঁদে বাঘ পড়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করার সময় আহত হয়। ফাঁদে আটকে না খেতে পেয়েই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।