নিটে হেনস্থা, সাসপেন্ড চার শিক্ষিকা

মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) নিরাপত্তার ‘দোহাই’ দিয়ে এক ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করায় সাসপেন্ড করা হয়েছে কেরলের কান্নুরের চার স্কুলশিক্ষিকাকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ০৪:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) নিরাপত্তার ‘দোহাই’ দিয়ে এক ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করায় সাসপেন্ড করা হয়েছে কেরলের কান্নুরের চার স্কুলশিক্ষিকাকে। রবিবারের এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সিবিএসই। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মঙ্গলবার সিবিএসই-র তরফে জানানো হয়, ‘বাড়াবাড়ি’ করতে গিয়ে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে।

Advertisement

বোর্ডের মুখপাত্র রমা শর্মা বলেন, ‘‘কান্নুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কিছু ব্যক্তির বাড়াবাড়ির জন্যই বিতর্ক হচ্ছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা হওয়ায় আমরা দুঃখিত।’’ মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘হল-এ প্রবেশের আগে কী করণীয় আর কী করা যাবে না, সেই সংক্রান্ত নির্দেশ ওয়েবসাইট, অ্যাডমিট কার্ড, ইমেল এবং এসএমএসে বারবার বলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মর্যাদা রক্ষায় নিরাপত্তাগত দিক থেকে কোনও ফাঁক রাখা হয়নি।’’

কান্নুরের টিআইএসকে স্কুলের অধ্যক্ষ জামালুদ্দিন কে জানান, বিতর্কের পরপরই ওই চার শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়।’’ তবে তাঁর দাবি, মেটাল ডিটেক্টরে শব্দ হলে কাউকেই পরীক্ষা হলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না— স্পষ্ট নির্দেশ ছিল সিবিএসই-র। সেটাই মানা হয়েছে।

Advertisement

ওই ঘটনায় রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। কেরল সরকারকেও তারা নোটিস পাঠিয়েছে। ফেসবুকে ঘটনার নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। উত্তাপ ছড়িয়েছে কেরল বিধানসভাতেও। বিরোধী কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা বোমা বা পিস্তল নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসেননি! সিবিএসই-র এই নিয়ম অমানবিক, নিষ্ঠুর এবং অবমাননাকর। ’’ মুখ্যমন্ত্রী পরে জানান, মহিলা পুলিশ অফিসারকে পাঠানো হচ্ছে ওই ছাত্রী ও তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য।

যে ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, তিনি পরে বলেন, ‘‘যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা। সকাল সাড়ে আটটায় কালো পাটিয়ালা প্যান্ট পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছই। ওঁরা বললেন, এই পোশাক চলবে না। নতুন প্যান্ট কিনে আবার পৌঁছলাম ন’টা কুড়ি মিনিটে। পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিট আগে বলা হলো অন্তর্বাসে ধাতব অংশ রয়েছে। তাই তা খুলে ফেলতে হবে।’’ তাই তাড়াহুড়োয় শৌচালয় পর্যন্ত যেতেও পারেননি তিনি। পোশাক পরা অবস্থাতেই অন্তর্বাস খুলতে হয়। মায়ের হাতে তা দিয়ে ছুটে যান পরীক্ষার হলে। আর এক অভিভাবকের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে জিন্সের প্যান্টের ধাতব বোতাম খুলে ফেলতে বলা হয়। বোতাম ছিঁড়ে ফেলে তিনি নতুন পোশাক কিনতে দোকানে ছোটেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement