—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিনা টিকিটে দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রা করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন থাণের চার যাত্রী। আদালতে হাজির করানো হলে তাঁদের ট্রেনভাড়ার ২৩ গুণ বেশি জরিমানা করা হল। রবিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল সূত্রে খবর, টিকিট ছাড়াই সিংহগঢ় এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন মহম্মদ রইস চৌহান, নজরত আলি খান, আব্দুল লতিফ এবং সেলিম আনসারি নামে চার যুবক। ৩ জুলাই ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে চড়ে পুণে থেকে মুম্বই যাচ্ছিলেন থাণের ডোঙ্গরী এলাকার ওই বাসিন্দারা। অভিযোগ, বিনা টিকিটে ট্রেনযাত্রার সময় যাতে ধরা পড়ে না যান, সে জন্য শৌচালয়ে লুকিয়ে ছিলেন ওই যুবকেরা।
কল্যাণ এবং দাদরের মধ্যে সদলে ট্রেনে টিকিট পরীক্ষা করছিলেন মুখ্য টিকিট পরীক্ষক (সিটিআই) এসএ জোশী। বিক্রোলী পার হওয়ার সময় জোশীর সহকর্মীরা দেখেন, কয়েক জন ট্রেনের শৌচালয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। শৌচালয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দেখে ফেলেছিলেন টিকিট পরীক্ষকেরা। বার বার ডাকাডাকি করলেও সেখান থেকে বেরোতে রাজি হননি। তখনই সন্দেহ হয়েছিল টিকিট পরীক্ষকদের। এর পর শৌচালয়ের বাইরে ঘাপটি মেরে থাকেন তাঁরা।
প্রায় ৪৫ মিনিট পর ট্রেনটি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি)-এ ঢোকে। এর পর ট্রেনটি লোনাবলার কারশেডে ঢুকলে সেখানে নেমে সরে পড়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে শৌচালয় থেকে বেরোলে ওই যুবকদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন টিকিট পরীক্ষকেরা। টিকিট চাইলেও তা দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। এর পর তাঁদের কাছ থেকে টিকিটের দাম চাইলেও তা দিতে অস্বীকার করেন অভিযুক্তেরা। অগত্যা আদালতে হাজির করানো হয় চার জনকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৩৭ এবং ১৪৬ ধারায় যথাক্রমে বিনা টিকিটে যাত্রা-সহ রেলকর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এর পর অভিযুক্তদের ১,৮৫০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক।
সংবাদমাধ্যমের কাছে এক রেল আধিকারিক বলেন, ‘‘ট্রেনের মধ্যেই ভাড়া দিতে রাজি হলে ওই যুবকদের জরিমানা-সহ টিকিটের দাম হিসাবে মোট ৩৫০ টাকা দিতে হত।’’