—প্রতীকী চিত্র।
এক জেলবন্দির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মীরাটের নিরাপত্তারক্ষী-সহ চার জনকে সাসপেন্ড করলেন কর্তৃপক্ষ। ডেপুটি জেলার রাকেশ বর্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে থানায়। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বন্দির নাম চৌধরি চরণ সিংহ। ৩০ বছরের ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে পরিবারের অভিযোগ, সংশোধনাগারে অত্যাচার করা হত চরণের উপর। তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পুলিশ।
মৃতের দাদা রোহিত সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘জেলের ভিতরে আমার ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পুলিশ। এখন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে নানা কথা বলছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের সাসপেন্ড করে লোক দেখানো তদন্ত হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, ডিজি (কারাগার) এসএন সবত বলেছেন, দুই নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জয় রানা এবং মনোজকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওয়ার্ডেন রবীন্দ্র সিংহ এবং হরিশঙ্করের বিরুদ্ধে একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তবে মীরাট জেলের সুপার শশীকান্ত মিশ্র দাবি করেছেন, সকালে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ছিলেন ওই বন্দি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলার উপর অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে ২০১৮ সালে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি নিম্ন আদালত চরণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান অভিযুক্ত। জামিন পান ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ৯ এপ্রিল আবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন খারিজ করে নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রাখে আদালত।