পুলিশ এসে চার জনের দেহ উদ্ধার করে। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এলাকাবাসীরা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন কয়েক দিন ধরেই। কোথা থেকে সেই পচা গন্ধ আসছে, তা নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। সেই গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই চমকে উঠলেন এলাকাবাসীরা। তাঁরা দেখেন এলাকারই একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ওই কটূ গন্ধ ভেসে আসছিল। সেপটিক ট্যাঙ্ক খুলতেই চার জনের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।
শনিবার বিকেলে ওই চার জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরাউলি জেলার বর্গওয়ান থানার বড়খড় গ্রামে। স্থানীয়েরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জেলার পুলিশ সুপার মণীশ ক্ষত্রি জানিয়েছেন, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ওই দেহগুলি কাদের তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, যে বাড়ি থেকে দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে সেটি সুরেশ প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তির। ১ জানুয়ারির পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি। বাড়ির দরজা খোলা। গাড়ি বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা। আর এখান থেকেই সন্দেহ ওই দেহগুলি সুরেশ এবং তাঁর পরিবারের আরও তিন সদস্যের। তবে দেহগুলি এমন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে যে চেনার উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন এক এলাকাবাসী। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া চার জনের দেহ ঘিরে রহস্য বাড়ছে।