জহর সরকার। —ফাইল চিত্র।
সাংসদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর শেষে চিঠিতে টোকিয়োর রেনকোজি মন্দির থেকে সুভাষচন্দ্র বসুর চিতাভস্ম ফিরিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন জহর সরকার। তৃণমূলের রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সাংসদ গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোদীকে চিঠিটি লেখেন। ঘটনাচক্রে পরের দিনই তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।
জহর লিখেছেন, এটিই সাংসদ হিসেবে তাঁর শেষ চিঠি। তিনি আশা করছেন, পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রী তাঁকে তাঁর স্থায়ী ঠিকানায় উত্তর দেওয়ার ঔদার্য দেখাবেন। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এই বিষয়ে ১২ বার তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। জহরের কথায়, “কী ভাবে সরকার চলছে, তার দুর্ভাগ্যজনক ছবি এটি।”
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ হিসেবে জহর সরকার প্রথমে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তাঁর মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রকের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। ফের তিনি চিঠি লেখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। বিদেশমন্ত্রী উত্তর দেন, এটিস্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজ, তাঁর নয়। আবার প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং পরে এস জয়শঙ্করকে আবেদন করেন তিনি। শেষে কিছুটা তিতিবিরক্ত সুরেই গত ১৮ জুন (জহর এই চিঠি লেখা শুরু হয়েছিল গত বছরে শেষের দিকে) বিদেশমন্ত্রী লেখেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের মন্ত্রকের কোনও তথ্যই দেওয়ার নেই। আবারও জানাচ্ছি, এই বিষয়টি অতীতে কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই সামলেছে। এমনকি, তা সংসদে এলেও।’