১৯ বছর পর ঘুষ মামলায় জেলের সাজা শোনাল আদালত। — প্রতীকী ছবি।
জমির চরিত্র বদলের পরামর্শ দিয়ে ১ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন ১৯ বছর আগে। তার পর চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করে বর্তমানে বাড়িতেই কাটাচ্ছেন বার্ধক্য। সেই সত্তরোর্ধ্ব প্রাক্তন পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ৩ বছরের জেলের সাজা শোনাল আদালত। জরিমানাও দিতে হবে ৮ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোটে।
রাজকোটের জেলা পঞ্চায়েতের সার্কল ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন জয়সুখ ভরদ। সেই সময় একটি জমির চরিত্র বদল করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে জনৈক অর্জন খিমানিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। খিমানিয়া ঘুষ দেওয়ার আগেই গোটা ঘটনা জানিয়ে রেখেছিলেন দুর্নীতি দমন শাখায়। ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যান জয়সুখ। কিন্তু জয়সুখের দাবি ছিল, তিনি মোটেও ঘুষ নেননি। খিমানিয়ার কাছে তাঁর এক পরিচিত ১ হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকাই জয়সুখের মাধ্যমে শোধ করেছেন তিনি। আশ্চর্যজনক ভাবে খিমানিয়াও জয়সুখের বক্তব্য মেনে নেন। আদালত ভর্ৎসনা করে খিমানিয়ার বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হবে না, তা জানতে চায়। সেই মামলা চলছিল। ১৯ বছর পর সেই মামলায় রায় দিয়েছে রাজকোটের বিশেষ আদালত। তত দিনে অবশ্য চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন জয়সুখ। বাড়িতে বসে কাটাচ্ছেন অবসর জীবন। এমন সময় তিনি জানতে পারলেন, আদালত সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী ৩ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে। একই সঙ্গে ৮ হাজার জরিমানাও করা হয়েছে তাঁর।
রায় শুনে আকাশ থেকে পড়েছেন জয়সুখ। আপাতত উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।